।। সৈয়দ সকিব ।।
বিএনএ, রাবি: অবরোধ চলাকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুটো ট্রিপ বন্ধ রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর। কিন্তু এরই মধ্যে দলীয় কাজে ছাত্রলীগকে বাস সুবিধা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর মহানগর আওয়ামী লীগের ‘আনন্দ মিছিলে’ যোগ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি বাস নিয়ে অংশ নেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
এদিন বিএনপির অবরোধ চলার কারণে বিহাস/কাটাখালি/বানেশ্বর রুটে কোনো বাস যায়নি। এছড়া দুপুর ১:১০ ও রাত ৮:১০-এর বাসের ট্রিপও অবরোধ চলার দিনগুলোতে বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর। তবে এমন সময়ে রাজনৈতিক প্রোগ্রামে এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করাকে নেতিবাচকভাবে দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান এ প্রসঙ্গে বলেন, “শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কাজ বা অন্য কোনো জরুরি প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাস দিতে পারে। তবে এভাবে প্রকাশ্যে একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ব্যবহার করা কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।”
আরও পড়ুন: ইসরায়েল ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’- এরদোয়ান
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোখছিদুল হক ছাত্রলীগকে বাস দেওয়ার বিষয়ে জানান, “যারা বাস নিয়েছে, তারা শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদের কাছে আবেদন করেছিল। সেখানে কোনো সংগঠন বা দলীয় কর্মসূচির বিষয় উল্লেখ ছিল না। তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ ভাড়াও পরিশোধ করেছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ভাড়া পরিশোধের কথা বললেও, পরিবহন অফিস সূত্রে জানা গেছে কোনো ফি না দিয়েই ৫টি বাস নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
পরিবহন দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, একটি বাস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ট্রিপ প্রতি জ্বালানি খরচ ১৫০০ টাকা ও স্টাফ খরচ বাবদ ৯৬০ টাকা পরিশোধ করে ব্যাংক রশিদ আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। তবে এই প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়েছে, ৫টি বাসের জন্য নির্দিষ্ট ফি হিসেবে ১২,৩০০ টাকা আদায় না করেই জরুরি ভিত্তিতে বাসগুলো ব্যবহারের অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।
এ বিষয়ে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় নগরের আলুপট্টি এলাকায় আনন্দ মিছিল করা হয়েছিল। সেখানে যোগ দেওয়ার জন্য যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করে বাস নিয়েছি ও ভাড়া পরিশোধ করেছিলাম।”
“ভাড়া পরিশোধ না করেই বাস নেওয়া হয়েছে” —বলছে পরিবহন অফিস
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক ভাড়া পরিশোধের কথা বললেও, পরিবহন অফিস সূত্রে জানা গেছে কোনো ফি না দিয়েই ৫টি বাস নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
বাস নেওয়ার জন্য সমাজকর্ম বিভাগের পরিচয় দিয়ে মো. মিনহাজুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী আবেদন করেন। তবে সেই আবেদনে ঠিক কোন কারণে বাসগুলো ব্যবহৃত হবে- তা উল্লেখ করা হয়নি। আবেদনের একটি কপি এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
আরও পড়ুন: তফসিল প্রত্যাহারের দাবিতে চবি ছাত্রদলের বিক্ষোভ
পরিবহন দপ্তর সূত্রে আরও জানা যায়, একটি বাস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে ট্রিপ প্রতি জ্বালানি খরচ ১৫০০ টাকা ও স্টাফ খরচ বাবদ ৯৬০ টাকা পরিশোধ করে ব্যাংক রশিদ আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। তবে এই প্রতিবেদক নিশ্চিত হয়েছে, ৫টি বাসের জন্য নির্দিষ্ট ফি হিসেবে ১২,৩০০ টাকা আদায় না করেই জরুরি ভিত্তিতে ৫টি বাস ব্যবহারের অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক।
বিএনএনিউজ/ বিএম