32 C
আবহাওয়া
৭:৪৯ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত

নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত

নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত

বিএনএ ঢাকা: ধর্ষণের শিকার নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা সংক্রান্ত ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।  মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই সংক্রান্ত রিটের শুনানিকালে তথ্যটি জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। পরে রিটের শুনানি শেষে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়।

রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না ও ব্যারিস্টার সারা হোসেন। তাদের সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার শারমিন আক্তার শিউলী ও অ্যাডভোকেট মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

গত রোববার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট্র), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এবং নারীপক্ষ, এ তিন সংগঠনের পক্ষে এ রিট আবেদন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। রিটে আইন মন্ত্রণালয়কে বিবাদী করা হয়।

রিটে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের বিদ্যমান ধারায় ১৫৫ (৪) এবং ১৪৬ (৩) দুটি বিধান বাতিল চেয়ে রিট আবেদন করা হয়েছিল।  ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’- ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুইটি ধারা বাতিল চাওয়া হয়। সেইসঙ্গে ১৯৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ও ১৪৬ (৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না, সেই মর্মে রুল জারির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে আইনজীবী সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ ও ১৪৬ ধারা দুইটিতে বলা আছে, একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হন তাহলে আদালতে তার চরিত্র এবং ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন ও জেরা করা যায়। অনেকদিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে ধারা দুইটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা অনুসারে, কোনো লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিনী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।

জেরায় প্রশ্ন করা নিয়ে ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো অপরাধের সহিত জড়িত, কিংবা সে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দণ্ডলাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।

সাক্ষ্য আইনের ধারা সংশোধন করা হবে বলা হলেও সেটি করা হয়নি। এ মর্মে ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’ ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুইটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

এর আগে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, সাক্ষ্য আইনের ১৫৫ (৪) ধারা নারীর মানবাধিকারের বিরোধী। তাই এটি বাতিলের প্রস্তাব হয়েছে। এ উদ্যোগ নারীর মর্যাদাহানি রোধ করবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ