বিএনএ, ঢাকা: ঐশ্বর্যের দেবী লক্ষ্মীর পূজা বুধবার (১৬ অক্টোবর)। নানা আয়োজনে এই পূজা করবেন বাঙালি হিন্দুরা। শারদীয় দুর্গোৎসবের পরবর্তী পূর্ণিমা তিথিতে হয় লক্ষ্মীপূজা। লক্ষ্মী উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব), আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবী।
হিন্দুদের অন্যতম এই ধর্মীয় উৎসব কোজাগরি লক্ষ্মীপূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো’। বাঙালি হিন্দুদের বিশ্বাস, বছরের সবচেয়ে উজ্জ্বল রাত আশ্বিনের পূর্ণিমা তিথিতে ধনসম্পদ, প্রাচুর্য, সৌন্দর্য ও সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী বিষ্ণুলোক থেকে পৃথিবীতে নেমে আসেন পূজা গ্রহণ করতে। লক্ষ্মী দেবী সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকে না, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়ে। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে দেবী ‘কে জেগে আছো’– প্রশ্ন করেন। তাই লক্ষ্মীপূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরি পূজাও। লক্ষ্মী দেবী দ্বিভূজা। তাঁর বাহন প্যাঁচা, হাতে থাকে শস্যের ভান্ডার। তবে বাংলার বাহিরে লক্ষ্মীর চতুর্ভূজা কমলে-কামিনী মূর্তিই বেশি দেখা যায়। প্রায় প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর ঘরে লক্ষ্মীপূজা হয়।
আজ মন্দির ও মণ্ডপের পাশাপাশি হিন্দুদের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হবে। ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হবে লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা।
রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির এবং পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্মীপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনএনিউজ/ বিএম/শাম্মী/এইচমুন্নী