বিএনএ, রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মন্নুজান হলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় হলটির মেইন গেইট সংলগ্ন একটি কক্ষে কর্ণারটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার।
বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধনের পর মন্নুজান হলের হল রুমে বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর শুরু হয় আলোচনা সভা।
এসময় আবাসিক হলের চারজন শিক্ষার্থীকে ‘শাহানারা হোসেন লিডারশীপ’ বৃত্তি প্রদান করা হয়। তাদেরকে নগদ ছয় হাজার টাকা ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
ফারসি বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুম জান্নাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। তাই মন্নুজান হলে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করায় আমরা মন্নুজান হল কতৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যার হাত ধরে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ রুপান্তরিত হয়েছে যেটি সম্ভব হয়েছে একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্য। আজকে সেই মহান ব্যক্তির নামে কর্ণার উদ্বোধন করা হয়েছে। তার জীবনের আদর্শ ও কর্ম আমাদের নিজেদের জীবনে পতিত করে এবং আমাদের আশেপাশে সকলকে মেনে চলার আহবান করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর ১৩ বছর কারাবাস সার্থক হবে এবং তার সোনার বাংলা নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, “কর্ণার উদ্বোধন করলেই চলবে না, বঙ্গবন্ধুকে পড়তে হবে। বঙ্গবন্ধু নিজেই বলেছেন, শুধু জয় বাংলা স্লোগান দিলে হবে না পড়াশোনা করতে হবে। আমাদের দেশে কত নেতা আসবে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো কেউ আসবে না। যে দেশ ও জাতির মুক্তির পথপ্রদর্শক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু দূরবর্তী চিন্তা করতে পারতেন তার বিষয়ে বলে শেষ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর চিন্তাধারার মধ্যে অনেক প্রটোকল ব্যাপার ছিলো। সাড়ে সাত কোটি মানুষের মনের ভিতর মুক্তিযুদ্বের যে চেতনা তিনি জাগিয়ে ছিলেন তাতেই তাঁর স্বার্থকতা।”
রাবি উপাচার্য আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ কে জানতে হলে প্রথমেই বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাকে জানার জন্যই বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন। বাঙালিকে কেউ জাগিয়ে তুলতে পারেনি, বঙ্গবন্ধু জাগ্রত করে তুলেছিলেন। তার ছিলো অসম্ভব মেধা। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথেই হাটছেন তার কন্যা আমদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালে ক্ষুধামুক্ত দেশ পেতে যাচ্ছি যার অবদান পিতা-কন্যার যুথবদ্ধতায়।”
এসময় রাবি উপাচার্য বঙ্গবন্ধুর জীবনীর ওপর লেখা প্রাথমিক তিনটি বই সকল শিক্ষার্থীকে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কয়েকদিনের মধ্যে চূড়ান্ত লড়াই শুরু হবে: ফখরুল
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ ড. রাশিদা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল- ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অবাইদুর রহমান প্রামাণিক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. সফিকুন্নবী সামাদী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. বোরাক আলী, জনসংযোগ প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, হল প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জয়ন্ত রাণী বসাক, বিভিন্ন আবাসিক হলের প্রাধ্যক্ষগণ এবং প্রায় শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/ সৈয়দ সাকিব/ বিএম