বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, থানচির সাথে বান্দরবান সদরের সঙ্গে উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থারকথা উল্লেখ করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের আন্তরিকতায় তিন দিনের রাস্তা এখন তিন ঘন্টায় যাওয়া যায়। পার্বত্যবাসীদের জন্য বর্তমান সরকার যে রকম সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করে দিয়েছে আর অতীতে আর কোন সরকার তা করে নি। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতা আর সৎ নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আর এই সরকারের আমলে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার(১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রি.) বান্দরবান পৌর এলাকার বনরুপা পাড়ায় ড্রেন নির্মাণ কাজ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নে ৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি কাজের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
পরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর বাস্তবায়নে ৪ কোটি ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ তলা বিশিষ্ট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কাজের উদ্বোধন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এবং সেখানে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।
প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ গড়ে ওঠেছে
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, অতীতে পার্বত্য এলাকার যে অবস্থা ছিল শান্তি চুক্তির পর পার্বত্য এলাকায় শান্তি বিরাজ করছে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রয়েছে। ২০০৬ সালে যেখানে পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল হাতে গোনা কয়েকটি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তা বাড়িয়ে সাত গুণেরও বেশিতে উন্নীত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টির কারণেই বান্দরবান জেলায় ১৪টি কলেজ হয়েছে। প্রত্যেক উপজেলায় কলেজ গড়ে ওঠেছে।
মন্ত্রী বলেন, একসময় বান্দরবানে দুর্গম উপজেলা থানচির ছেলেমেয়েদের শহরে লেখাপড়া করার সাধ্যি ছিল না। যেখানে থানচি থেকে বান্দরবান শহরে পৌঁছাতেই তিন দিন লেগে যেতো। ২০০৬ সালে সেখানে মাত্র দুটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করার মতো নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। যার মধ্যে সেসময় সেই বিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল খুবই নগন্য। অথচ সেই জায়গায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে পরিদর্শনে গিয়েছেন। অষ্টম শ্রেণির বিদ্যালয়গুলোকে তিনি হাই স্কুলে পরিণত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেখানে স্কুলগুলো সরকারিকরণ করা হয়েছে। কোনোটা আবার এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। সেখানকার ছেলেমেয়েদের এসএসসি পরীক্ষা দিতে এখন আর কষ্ট করে শহরে আসতে হয় না। এসএসসি পরীক্ষার সেন্টার হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেখানে কলেজও হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আগের কোনো সরকারের আমলে বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলে শিক্ষার জন্য শিক্ষার্থীরা এমন সুযোগ সুবিধা পায়নি।
মতবিনিময় সভায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বান্দরবান জেলার সহকারী পুলিশ সুপার মো. আমজাদ হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ রতন সিংহ, পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ সামসুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র সৌরভ দাশ শেখর, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মোহাম্মদ ইয়াছির আরাফাতসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএ,জিএন