বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: আফগানিস্তানের সাবেক সেনাসদস্য সহ একটা নিয়মিত ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করতে চায় তালেবানরা।তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ঘোষণার দুই সপ্তাহ পর তালেবান সরকারের ভারপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান কারী ফসিহউদ্দিন বুধবার বলেছেন, তারা একটি “নিয়মিত” এবং “শক্তিশালী” সেনাবাহিনী গঠনের জন্য কাজ করছে।
ফসিহউদ্দিন বলেন, সেনাবাহিনী গঠনের পরিকল্পনা শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে। তিনি বলেন, “আমাদের প্রিয় দেশের একটি নিয়মিত এবং শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকা উচিত যাতে সহজেই আমাদের দেশকে রক্ষা করা যায়।”
ফাসিহউদ্দিন বলেন, নতুন সেনাবাহিনীর জন্য সাবেক সরকারের সৈনিক ও কর্মকর্তাদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে। তালেবান যে কোনো অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক নিরাপত্তা হুমকির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে।
“যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছে এবং পেশাদার তারা আমাদের নতুন সেনাবাহিনীতে থাকা উচিত। আমরা আশা করি অদূর ভবিষ্যতে এই সেনাবাহিনী গঠিত হবে।””
তালেবান বারবার বলেছে যে, সাবেক সরকারি সেনা কর্মীদের তাদের ডিউটিতে ফিরিয়ে আনা হবে।কাবুলের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য সাবেক সরকারী পুলিশকে ফিরিয়ে আনবে।
প্রাক্তন সরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা অবশ্য বলছেন যে তাদের এখনও তাদের দায়িত্ব পুনরায় শুরু করতে বলা হয়নি। প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তারা সাবেক সরকারী সেনা সদস্যদের ফিরিয়ে আনতে তালেবানদের সদিচ্ছার প্রশংসা করেন এবং বলেন যে তালেবানদের সেই কর্মীদের দক্ষতা এবং ক্ষমতা ব্যবহার করা উচিত।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা শাকরুল্লাহ সুলতানি বলেন, “তাদের (তালেবানদের) তিন লক্ষ সেনা সদস্যের ভাগ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কাবুলের বাসিন্দা ওয়াসিকুল্লাহ আজিম বলেন, “এটা স্পষ্ট যে প্রাক্তন সেনা সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ না করে এবং তাদের ব্যবহার না করে এটা সম্ভব নয়।
বিএনএ/ওজি