বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের হাটহাজারীর গৃহবধু তারিন আকতারের (২৪) হত্যা মামলায় স্বামী আরকাদুল ইসলাম রুবেল (৩৮)-কে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে দেবর মো. আরফাতকে (৩৩) জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (১৬ জুলাই) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ম আদালত ফারদিন মোস্তাকিম উভয় পক্ষের আইনজীবীর শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। আদালতে রাস্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন জেলা পিপি এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও বাদীপক্ষে ছিলেন এডভোকেট শেখ সরফুদ্দীন সৌরভ।
এরআগে আরকাদুল ইসলাম রুবেল ও আরাফাতের পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করা হয়।
গত ৫ জুলাই সকাল ১০টার দিকে তারিরেন শ্বশুর বাড়ি (হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের নুর আলী মিয়ারহাট সংলগ্ন লাতু চৌধুরীর বাড়ি) থেকে ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় তার ভাই শাহেদ আলম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করে হাটহাজারী থানা পুলিশ।
নিহত ফাহমিদা আক্তার তারিন ফটিকছড়ি নাজিরহাট পূর্ব ফরহাদাবাদ তালুকদার বাড়ির জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। ২০১৯ সালে আরকাদুল ইসলাম রুবেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তারিনের।
নিহতের ভাই মো. শাহেদ আলম জানান, বিয়ের পর থেকেই তারিন আকতারকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী ও তার পরিবার। শিক্ষিত শান্তশিষ্ট হওয়ায় পিত্রালয়ে জানালেও কখনো বিচার করতে দেয়নি। সন্তানের দিকে তাকিয়ে সবকিছু মুখবুঝে সহ্য করত। শেষ পর্যন্ত আমার বোনকে তারা ‘হত্যা’ করলো।
তিনি আরও বলেন, চার বছর সংসার জীবনে আমার বোনকে তার স্বামী ভরণপোষণ দিতে পারেনি। আমার বোনের সকল প্রয়োজন মেটাতে হতো আমাদের। এছাড়া ব্যবসার জন্য রুবেলকে গত মাসে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। বিয়ের এক বছর পর থেকে সাংসারিক নানা বিষয়ে ভুল ধরে তারিনকে অত্যাচার করতো স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
বিএনএ/এমএফ