বিএনএ, ঢাকা: রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। নাড়ির টানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছে উত্তরাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে কয়েকগুণ। ফলে বঙ্গবন্ধু সেতুতে বেড়েছে টোল আদায়ের হার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। সেতু দিয়ে ৫১ হাজার ৮৯১টি যানবাহন পারাপার হয়। কুরবানি ঈদকে ঘিরে ফের সর্বোচ্চ টোল আদায়ের রেকর্ড করল সেতুটি।
এর আগে শনিবার গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা আদায় করে সেতু উদ্বোধনের ২৬ বছরে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করে। সেদিন ৫৩ হাজার ৪০৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এ যাবতকালে এরচেয়ে বেশি সেতু উদ্বোধনের পর কখনো টোল আদায় হয়নি।
রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, যানজট নিরসনে সেতুর উভয় অংশে ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপনসহ মোটরসাইকেলের জন্য চারটি বুথ স্থাপন করা হয়েছে। এবারও ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হবে বলে আশা করছি।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সাইট অফিস সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ৩১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে। এতে ৫১ হাজার ৮৯১ টি যানবাহন পারাপার হয়। এরমধ্যে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব অংশের ঢাকা ও ময়মনসিংহের দিকে ৩৪ হাজার ২৩৬টি যানবাহন পার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২২ লাখ ১০ হাজার ৪৫০ টাকা। আর সিরাজগঞ্জ সেতু পশ্চিম অংশে উত্তরবঙ্গের দিকে ১৭ হাজার ৬৫৫টি যানবাহন পার হয়, এর থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৪৩ লাখ ২১ হাজার টাকা। এটি সেতু উদ্বোধনের টোল আদায়ে দ্বিতীয় রেকর্ড।
গত বছরের ২৮ জুন ২৪ ঘণ্টায় অর্থাৎ একদিনে সেতুর ওপর দিয়ে ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। এসব যানবাহন থেকে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। এটিই ছিল সর্বশেষ এ সেতুর টোল আদায়ের রেকর্ড। এরপর চলতি বছরের গত ১৫ জুন ২৪ ঘণ্টায় ৩ কোটি ৮০ লাখ ৬৩ হাজার ৪০০ টাকা ছিল সর্বশেষ টোল আদায়ের নতুন রেকর্ড।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে থাকে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৩-১৫ হাজার যানবাহন সেতুটি দিয়ে পারাপার হয়। ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে পরিবহণের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।
বিএনএ/এমএফ/এইচমুন্নী