34.5 C
আবহাওয়া
১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ - জুন ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রাঙামাটিতে ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি মানের গরু

রাঙামাটিতে ক্রেতাদের চাহিদা মাঝারি মানের গরু


বিএনএ, রাঙামাটি : সোমবার মুসলমানদের সর্বোচ্চ ত্যাগের পবিত্র ঈদ-উল-আযহা। ঈদকে কেন্দ্র করে জমে ওঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনপদ রাঙামাটির গরু বাজার। এখানকার হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভীড়ে চাহিদা বাড়ছে পাহাড়ের দেশি গরুর। চর্বি কম, মাংস সুস্বাদু এবং প্রাকৃতিক ঘাস খেয়ে পাহাড়ের গরুগুলো বড় হওয়ায় দূর থেকে অনেক পাইকার দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান পাহাড়ি গরু। এদের মধ্যে রেড চিটাগাং এর চাহিদা রয়েছে সবার শীর্ষে।

এবার হাটগুলোতে বড় ও ছোট গরুর চেয়ে মাঝারি গরুর চাহিদা রয়েছে সর্বোচ্চ। বিক্রি হয়েছে মাঝিমানের গরুই বেশি।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবার রাঙামাটিতে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৯৫২ টি গরুর। এর বিপরীতে খামার ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রস্তুত রয়েছে ৬৪ হাজার ৯৯৮ টি পশু। তাই রাঙামাটিতে পশুর কোন ঘাটতি নেই। তবে রাঙামাটির বাহির থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসায় স্থানীয় হাটে গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা।

রাঙামাটির কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, দুর্গম এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন সাইজের গরু আসছে। অনেকে ইঞ্জিনচালিত বোটের মধ্যে সারিবদ্ধভাবে রাখছেন এসব গরু। আবার অনেকে পশুর হাটে নিজের পছন্দমতো জায়গায় গরু রাখছেন। এখানেই চলছে ক্রয়-বিক্রয়। প্রথমদিকে ক্রেতা না থাকলেও শেষ মুহূর্তে জমে ওঠেছে পশুর বাজার। রাঙামাটি সবচেয়ে পাইকারি গরু বাজার লংগদু’র সাপ্তাহিক মাইনি বাজার। গত একমাসে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৫ শতাধিক গরু। এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা গরু কিনতে আসেন।

গরু কিনতে আসা শাহ জাহান জানান, কয়েকদিন ধরে বাজারে এসেছি, কিন্তু দাম ও পছন্দ অনুযায়ী গরু মিলাতে পারিনি। আজ মাঝারি মানের একটি কিনেছি।

চট্টগ্রাম থেকে আসা আব্দুর রহমান বলেন, পাহাড়ি গরুতে রোগবালাই কম থাকে এবং এরা বেশিরভাগই প্রাকৃতিকভাবেই বড় হয়। তাই এদের মাংস সুস্বাদু ও সবার পছন্দ।

কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, তারা প্রতিজনে ৫-৭ টির অধিক গরু নিয়ে হাটে এসেছেন। প্রায় গরু বিক্রি হয়েছে। তবে বড় গরুর চেয়ে মাঝারি মানের গরুর চাহিদা এবার বাজারে বেশি বলে তারা জানান।

গরু বিক্রি করতে আসা খামারি মোজাম্মেল বলেন, এই বছর তার খামারে ১৪ টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১২টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এসব গরু ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। বাকিগুলোও কালকের মধ্যে বিক্রি হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।

রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনাল কোরবানি পশুর হাটের ইজারাদার রুহুল আমিন বলেন, হাটে প্রচুর পরিমাণে পাহাড়ি গরু উঠেছে। অনেকে একসাথে ১৫/২০টি গরু কিনে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছে। সারা দেশে পাহাড়ি গরুর চাহিদা থাকায় পাইকাররাও বেশ লাভবান হয়। তার হাটে অনেক গরু ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে বলে তিনি জানান।

বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন/এইচ.এম/হাসনা

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ