স্পোর্টস ডেস্ক: দুই বছর পর জাতীয় দলে ফেরা ম্যাট হামেলস ডোবালেন জার্মানিকে। তার আত্মঘাতী গোলে প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের হাসি হাসলো ফ্রান্স। অ্যালিয়েঞ্জ এরেনায় গোটা ম্যাচে দুই দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের পসরা সাজালেও ওই একটি গোলই গড়ে দেয় ম্যাচের পার্থক্য। তাতে ১-০ গোলে জার্মানিকে হারিয়ে ইউরোতে শুভ সূচনা হলো ফরাসিদের।
মঙ্গলবার রাতে মিউনিখের আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হওয়া ইউরোর ‘এফ’ গ্রুপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত ফ্রান্স। ১৫ মিনিটে পল পগবার হেড ক্রসবারের উপর দিয়ে চলে যায়। এর দুই মিনিট পর ফরাসি তরুণ মিডফিল্ডার কিলিয়ান এমবাপ্পের শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন মানুয়েল নয়ার।
২০ মিনিটে ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয় ফ্রান্সের। লুকাস হার্নান্দেজের বাঁ প্রান্তের ক্রসটি ডিফেন্ডার হামেলস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে জার্মানি। ক্রুস-মুলাররা অনেক চেষ্টা করেও সেই গোল শোধ দিতে পারেনি। ১-০ গোলের ব্যবধানেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
দ্বিতীয়ার্ধে নেমেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারত ফ্রান্স। আদ্রিয়েন রাবিয়োতের শট সাইড পোস্টে লেগে ফিরে আসলে তা আর হয়ে ওঠেনি। ৫৪ মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় জার্মানি। কিন্তু সের্জিও জিনাব্রির শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৬৬ মিনিটে জার্মানির জালে বল জড়িয়ে দেন এমবাপ্পে। উল্লাসের আগেই তাতে ভাটা পড়ে যখন রেফারি অফসাইডের সংকেত দেন। গোলটি বাতিল হয়।
শেষ দিকে বহু বছর পর ফরাসি দলে ফেরা রিয়াল মাদ্রিক স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার একটি গোলও বাতিল হয়েছে। শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দিদিয়ের দেশমের দল। এ নিয়ে ইউরোতে ৬ বারের দেখায় ফ্রান্স জিতেছে তিনবার , আর জার্মানি দুইবার। আর ড্র একটি।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ