বিএনএ, ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কোনো দলের দিকে তাকানো আমাদের দায়িত্ব নয়। নির্বাচনে সরকারকে নিয়ন্ত্রণের জন্য যে আইন রয়েছে তা প্রয়োগ করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) নির্বাচন ভবনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সঙ্গে বৈঠক শেষ তিনি সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন।
সিইসি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আপনারা (দলগুলো) অংশগ্রহণমূলক, উৎসবমুখর করে তুলুন। আমাদের যে দায়িত্ব থাকবে, কোনো দলের দিকে তাকানো নয়, ভোটাররা যাতে নির্ভয়ে, উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছেন কিনা, সেই চেষ্টাটাই আমরা মূলত করব।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনকালীন যে রাজনৈতিক সরকার বা যে আমলাতান্ত্রিক সরকার থাকবে (আমলাতান্ত্রিক সরকার বলতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব থেকে সহকারী সচিব পর্যন্ত ও রাজনৈতিক সরকার বলতে উপ-মন্ত্রী থেকে উপর পর্যন্ত) দুটো মিলেই কিন্তু পরিপূর্ণ সরকার। আমরা রাজনৈতিক সরকার ও আমলাতিন্ত্রক সরকারে ওপর আমাদের যে নিয়ন্ত্রণ (আইনে প্রদত্ত) সেটি প্রয়োগের চেষ্টা করবো।
মিডিয়ায় বক্তব্য দিলে ‘থার্টি পার্সেন্ট টুইস্টেড’ হয়ে যায় বলে মন্তব্য করে সিইসি বলেন, মিডিয়ায় যখন বক্তব্য দেয়া হয় তখন ওটা টুয়েন্টি পার্সেন্ট, থার্টি পার্সেন্ট টুইস্টেড হয়ে যায়। তখন বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ জন্য সতর্ক হয়ে কথা বলতে হয়।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাতীয় নির্বাচনে মিডিয়ার একটা রোল থাকবে, যে অনিয়ম তা যদি দৃশ্যমানভাবে ফুটিয়ে তোলা যায়, তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনের যথাযথ ভূমিকা নিতে সহায়ক হবে। নিরপেক্ষ মাঠে কি করব, সেটা আমরা নিজেরাই চিন্তা করব। আপনাদের কাছে বলতে চাচ্ছি না।
তিনি বলেন, আমরা যে নির্বাচনগুলো করেছি, তা মোটামুটি তুলনামূলকভাবে সুশৃঙ্খলভাবে হয়েছে। আমি বলব না যে, অ্যাবস্যুলিটলি হয়েছে। সেক্ষেত্রে কিন্তু আমরা সরকার, পুলিশ এবং প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা পেয়েছি। আমরা কখনো অসহযোগিতা পাইনি। আশা করি, জাতীয় নির্বাচনেও তারা এ ভূমিকা পালন করবেন। যাতে জনগণের আস্থা ও সম্মানবোধ, আপনাদের ওপর, আমাদের ওপর এবং সরকারের ওপরও প্রতিষ্ঠা পায়।
বিএনএ/এমএফ