বিএনএ ডেস্ক: রেলমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণকারী ৩ যাত্রীর কাছ থেকে জরিমানাসহ টিকিটের টাকা আদায় করেন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) মো. শফিকুল ইসলাম। এ ঘটনায় রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর ফোনে বরখাস্ত হওয়া শফিকুলের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি।
ট্রেনের যাত্রী রেল মন্ত্রীর স্ত্রীর আত্মীয় ইমরুল কায়েস প্রান্ত রেলওয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে টিটিই শফিকুলকে বরখাস্ত করা হয়।
পরে ঘটনা তদন্তে সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা পাকশীকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার (১৬ মে) পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটির প্রধান সাজিদুল ইসলাম জানান, ‘শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। ‘অভিযোগকারী, অভিযুক্ত এবং ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন এমন ৯ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ তথ্য পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
সাজিদুল ইসলাম জানান, ”অভিযোগকারী ইমরুল কায়েসের সঙ্গে টিটিই শফিকুলের ভাড়া নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। টিটিই চলে যাওয়ার পর ওই কামরার গার্ড প্রান্তকে টিটিইর নামে অভিযোগ দিতে প্ররোচিত করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রান্ত ট্রেন থেকে নেমে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।’
এ ঘটনার রেলমন্ত্রীর স্ত্রীর জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সাজিদুল ইসলাম বলেন, এটা এই কমিটির তদন্তের বিষয় ছিল না।
তদন্ত প্রতিবেদনে ৩টি সুপারিশের কথা জানিয়েছেন কমিটির প্রধান সাজিদুল ইসলাম। সুপারিশের মধ্যে আছে, টিটিই মো. শফিকুল ইসলামকে স্বপদে বহাল রাখা, অভিযোগ করতে প্ররোচনা দেয়া গার্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া এবং রেলওয়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপনকারী মো. ইমরুল কায়েস প্রান্তকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এসে ক্ষমা চাওয়া।
বিএনএ/এ আর