29 C
আবহাওয়া
৬:০২ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » লকডাউনের অজুহাতে বাড়তি দাম

লকডাউনের অজুহাতে বাড়তি দাম

লকডাউনে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার

বিএনএ,চট্টগ্রাম: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন।যা চলবে আগামি ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। ওইদিন পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউই বাসার বাইরে যেতে পারবেন না। একইসঙ্গে স্থানীয় বাজার ছেড়ে অন্য বাজারে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না ক্রেতারা। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনে সরবরাহ না থাকা, পরিবহন খরচ বাড়তি হবার কারণে দাম বাড়ছে। অথচ খাদ্য পণ্য পরিবহন লকডাউনের আত্ততামুক্ত। একই সাথে বাজারে ক্রেতা কম। শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার. কাজীর দেউড়ি বাজার ও চকবাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া যায়।

সবজির মধ্যে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ৮০ থেকে ১০০ টাকা, আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, পেপে ৩০ টাকা, তিতা করলা ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, খিরা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া পেঁয়াজ ৩৫-৪০ টাকায়, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১২০ টাকা, আদা ৮০ থেকে ১০০ টাকা। হলুদ ১৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

মাংসের বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়, লেয়ার ২৪০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকায়। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮০০ টাকায়।

লকডা্উনের সময়ে সরবরাহ মাছের বেশকিছুটা কমেছে। মাছের বাজারে প্রতিকেজি তেলাপিয়া ১৫০ টাকা, কাতাল ২০০ থেকে ২৩০ টাকায়, রুই ১৬০ টাকা, চিংড়ি ৪৫০ টাকায়, রূপচাঁদা ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতি রমজানেই এমন হয়। লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহন খরচ বেশি পড়ার বিষয়টি ঠিক থাকলেও রাতারাতি দ্বিগুণ দাম বাড়ার বিষয়টি মোটেই প্রাসঙ্গিক নয়। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। অন্যথায় ব্যবসায়ীদের এসব কর্মকাণ্ডে মানুষ জিম্মি হয়েই থাকবে।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ