বিএনএ ডেস্ক:গ্রামের হাটবাজারগুলোতে লকডাউনের কোনো প্রভাবই নেই। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলছে বেচাকেনা। কোথাও মানা হচ্ছে না শারীরিক দূরত্ব।বেশিরভাগ মানুষের মুখেই মাস্ক নেই ।কঠোর লকডাউনের মধ্যেই সকাল থেকে জমজমাট বেচাকেনা চলছে।লকডাউন যে চলছে তা যেন হাটবাজারগুলোতে বোঝার কোন উপায় নেই।ঝুঁকির শৃঙ্খলতার আদেশ উপেক্ষা করে বাসাবাড়ি থেকে বের হয়েছে মানুষ ।
আর ব্যস্ত সড়কগুলোতে চিরচেনা ভিড় কিংবা যানজট নেই। গণপরিবহন না থাকলেও ছোট যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহন চলাচল করছে। ব্যাটরি চালিত রিকশা ও অটোরিকশার দখলে সড়কগুলো।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সারা দেশে একযোগে কঠোর লকডাউন শুরু হয়।
এদিকে, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সর্বাত্নক লকডাউনের তৃতীয় দিনে জেলা ও বিভাগীয় শহরগুলো অনেকটা ফাঁকা।শহরের রাস্তাঘাটগুলোয় মানুষের উপস্থিতি কম।জরুরি প্রয়োজনে বের হলেও পুলিশের জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। যারা অপ্রয়োজনে বের হচ্ছেন, তাদের প্রতি কিছুটা কড়া হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গণপরিবহন না থাকলেও জরুরি সেবার বাহন ছাড়া গাড়ি চলছে না শহরের রাস্তাঘাটে।গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।যারা প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে এসেছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রয়োজনের ধরন বুঝে চলাচলের অনুমতিদেয়া হচ্ছে। কোথাও মাইকিং করে জনগণকে ঘরে থাকার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
সড়কগুলোর দুপাশের বেশিরভাগ দোকানপাট ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও বন্ধ রয়েছে।তবুও কাজের অপেক্ষায় কোথাও কোথাও শ্রমিকদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।জীবনের তাগিদে ঝুঁকি নিয়েই বেড়িয়েছেন তারা।
তবে, শহরের অলিগলির চিত্রটা ভিন্ন। নিষেধাজ্ঞা না মেনে বাসার আশপাশে অযথা ঘোরাঘুরি করছেন অনেকে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওষুধের দোকান এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকান ছাড়া বাকি সব বন্ধ আছে। সার্বক্ষণিক তদারকি ও নজরদারির মাধ্যমে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।১৪ই এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই ‘সর্বাত্মক লকডাউন চলবে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত ।
বিএনএনিউজযআরকেসি