29 C
আবহাওয়া
৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ - এপ্রিল ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » রমজানে কোরান তেলাওয়াতের ফজিলত

রমজানে কোরান তেলাওয়াতের ফজিলত

রমজানে কোরান তেলাওয়াতের ফজিলত

বিএনএ ডেস্ক:  পবিত্র রমজান মাসেই নাযিল হয়েছে মানবতার মুক্তির মহাসনদ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরান।রমজানে নফল ইবাদতের মধ্যে কোরান তেলাওয়াত সর্বোত্তম।

পবিত্র কোরানে বিভিন্ন দৈর্ঘ্যের মোট ১১৪টি সূরা রয়েছে। সকল সূরা মিলিয়ে মোট আয়াতের (আয়াত আরবি শব্দ, এর অর্থ নিদর্শন) সংখ্যা প্রায় ৬২৩৬ (মতান্তরে ৬৩৪৮টি অথবা ৬৬৬৬টি)। প্রত্যেকটি সূরার একটি নাম আছে।

পবিত্র কোরানে মোট ৩০টি পারা বা অধ্যায় রয়েছে। কোরানের সূরাগুলো বিভিন্ন আকারের হলেও পারাগুলো প্রায় সমান আকারের।

পবিত্র কোরান সম্পূর্ণই আরবি ভাষায় নাযিলকৃত। এটি সম্পূর্ন আরবি এবং এতে  কোনো বিদেশি শব্দ নেই। ইমাম শাফী’ তার আর-রিসালাহ গ্রন্থে বলেন, ‘আল কোরান এই দিক নির্দেশনা দেয় যে, আল্লাহর কিতাবের কোনো অংশই আরবি ভাষার বাইরে নয়।

যারা আরবি ভাষায় কোরান তেলওয়াত করতে পারেন তারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। কেননা আল্লাহ তায়ালা বুঝার জন্য মহান আল্লাহ তায়াল কোরান সহজ করে আরবি ভাষায় নাযিল করেছেন।

পবিত্র কোরানের সূরা আম্বিয়া’র ১০ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তো তোমাদের জন্য কিতাব অবতীর্ণ করেছি, যাতে তোমাদের জন্য উপদেশ রয়েছে। সুতরাং তোমরা কি তা বুঝবে না?

আল কোরানের সূরা ছোয়াদের ২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন,এটি হলো কল্যাণময় কিতাব। যা আমি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছি। যাতে মানুষ এসব আয়াতসমূহ  অনুধাবন করে আর বোধ শক্তিসম্পন্ন ব্যক্তিগণ উপদেশ গ্রহণ করে।

মুসনাদে আহমদ কিতাবের ৩৮নম্বর পৃ্ষ্ঠার ৩৫নম্বর হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি চায়, কোরান যেভাবে নাযিল হয়েছে সেভাবেই তেলওয়াত করবে, সে যেন ইবনে উম্মে আবদ অর্থাৎ হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রা.) এর মত পাঠ করে।

সুতারাং উল্লেখিত আয়াত ও হাদিস থেকে বুঝা যায় মহান আল্লাহ কোরান তেলাওয়াত ও উপদেশ গ্রহণ করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

পবিত্র কোরান মহান আল্লাহর কিতাব ও বাণী। মানবজাতির জন্য হেদায়েতের পথপ্রদর্শক। ইসলামের সর্বোচ্চ সংবিধান। এ বিধান অনুসরণেই মানজাতির মুক্তি ও সফলতা। আর এর অস্বীকারকারীরা মহান আল্লাহর শত্রু । যাদের ঠিকানা চিরস্থায়ী জাহান্নাম।

পবিত্র কোরআন মাজীদ সকল জ্ঞান-বিজ্ঞানের উৎস। এবং কোরান যে নির্দেশনা দিয়েছে তা নির্ভুল ও বাস্তবভাবে প্রমাণিত হয়েছে।  কোরানের এরশাদ হচ্ছে, ‘ইয়াসীন। বিজ্ঞানময় কোরানের শপথ’। (সূরা ইয়াসিন:১-২)

পবিত্র কোরান বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে নাযিল করা হয়েছে। যারা এ কোরান পড়বে, তা অনুযায়ী আমল করবে তারা মহান আল্লাহর রহমাতপ্রাপ্ত হবে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ