বিএনএ, চবি: পূর্ব ঘটনার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। গ্রুপ দুটি হলো- সিএফসি ও সিক্সটি নাইন। এসময় পুলিশসহ আহত হয়েছে অন্তত ১৩ জন কর্মী।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৫টার দিকে শুরু হয় এ সংঘর্ষ। ৪ ঘন্টা ধরে চলছে এ সংঘর্ষ। এসময় দুই গ্রুপের কর্মীরা দুটি হলের সামনে অবস্থান নেয়। সিক্সটি নাইনের কর্মীরা শাহজালাল হল ও সিএফসির কর্মীরা শাহ আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ও একের পর ককটেল ছুঁড়তে থাকে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলমান আছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সংঘর্ষ শুরুর দুই ঘন্টা পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সহায়তায় নিয়ন্ত্রণ আনা হয়। উভয় গ্রুপ কে হলে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু এরপর রব হলে অবস্থান করা সিএফসি গ্রুপের আরেকটি পক্ষ এসে সিক্সটি নাইনের উপর হামলা চালায়। এর জের ধরে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয় যা এখনো চলছে।
এ ব্যাপারে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম শিকদার বলেন, সংঘর্ষ শুরু থেকেই আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিলাম। এমনকি হলেও ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু কিছুক্ষণ আগে আরেক হল (রব) থেকে একটি গ্রুপ এসে মারামারিতে যোগ দেয় এবং আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। আমরা অতিরিক্ত পুলিশের জন্য এসপিকে বলেছি। পুলিশ আসলে আমরা আবার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবো। আমরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি টিয়ার শেল গ্যাস নিক্ষেপের জন্য। তবে শিক্ষার্থীরা ছড়িয়ে থাকায় তারা রাজি হননি।
প্রসঙ্গত, সিএফসি শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
বিএনএনিউজ/ সুমন/ বিএম