27 C
আবহাওয়া
৯:১১ অপরাহ্ণ - মার্চ ২৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বলিউডে কেন গাইলেন না সন্ধ্যা?

বলিউডে কেন গাইলেন না সন্ধ্যা?

সন্ধ্যা

বিএনএ বিনোদন ডেস্ক: ১৯৫০ সালে বলিউডে পাড়ি জমান বাংলা আধুনিক গানের সম্রাজ্ঞী সদ্যপ্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। ১৭টি হিন্দি ছবিতে প্লেব্যাক করেন তিনি। শচীন দেব বর্মনের হাত ধরেই শুরু হয়েছিল তার বলিউড যাত্রা। শচীন দেববর্মন তাকে নিয়ে গেলেও মুম্বাইয়ে প্রথম প্লেব্যাকের সুযোগ হয় অনিল বিশ্বাসের সুরে ‘তারানা’ ছবিতে।

সেই ছবিতে গান গাইতে গিয়ে তার পরিচয় হয় লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে। লতার সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছিলেন ‘তু বোল পাপিহে বোল’। এরপর প্রায় সতেরটি হিন্দি ছবিতে গান গেয়েছেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। কিন্তু আচমকা মুম্বাই থেকে কলকাতা ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। কেন ফিরে এসেছিলেন তা নিয়ে, আজও অনেকের মনে নানা জিজ্ঞাসা।

মুম্বাইয়ে সন্ধ্যার অন্যতম প্রিয় বন্ধু ছিলেন লতা মঙ্গেশকর। সুরের জগতের দুই নক্ষত্র লতা মঙ্গেশকর ও সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। একসময় গানের জগতে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তারা। তাদের কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছে সংগীতপ্রেমীরা। গানের সূত্রে দুজনেই একে অপরের ভালো বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন বলে ধারণা। তবে সমবয়সী এই দুই শিল্পীর ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে অনেক কথা শোনা যায়। তাদের ঘিরে রয়েছে অনেক গল্প। কেউ বলেন তারা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন, আবার কারোর মতে তারা ভালো বন্ধু ছিলেন।

এক সাক্ষাৎকারে সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন তার ও লতা মঙ্গেশকরের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথা। মুম্বাই থেকে কলকাতায় ফিরে আসার পর সন্ধ্যার ঢাকুরিয়ার বাড়িতেও এসেছেন লতা।সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের মুখে তার ও লতার বন্ধুত্বের কথা শোনা গেলেও বলিউডে কান পাতলেই শোনা যেত তাদের রেষারেষির গল্প।

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় আসার পরই নাকি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন লতা মঙ্গেশকর। এই গুজব শুনে একদিন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সোজাসুজি লতা জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘আমি কেন তোমায় হিংসে করব?’ জবাবে শুধু হেসেছিলেন সন্ধ্যা। এমনকি হেসে ফেলেন লতাও।

অনেকে বলেন, আসলে একে অপরের ভালো বন্ধু ছিলেন তারা। মুম্বাইয়ে থাকাকালীন লতার বাড়ি যেতেন সন্ধ্যা। এমনকি লতাও হোটেলে আসতেন সন্ধ্যার সঙ্গে দেখা করতে। সারাদিন কাটাতেন একসঙ্গে। সন্ধ্যার মায়ের হাতের রান্না খেতে পছন্দ করতেন লতা। লতার কাছ থেকে একবার অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন গীতশ্রী। তাকে নিজের একটি ছবি উপহার করেছিলেন লতা। পাশাপাশি লতাকে একটি আংটি উপহার দিয়েছিলেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।

এসব কারণে ধারণা, তাদের রেষারেষির যে গল্প ছড়িয়েছিল তা নেহাতই গুজব ছিল। আসল জীবনে তারা ছিলেন একে অপরের বন্ধু। হিন্দি গান গেয়ে মানসিক সন্তুষ্টি পাচ্ছিলেন না, সে কারণেই বাংলায় ফিরে এসেছিলেন সন্ধ্যা-এক সাক্ষাৎকারে তিনি নিজেই স্বীকার করেন সে কথা।

বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ

Loading


শিরোনাম বিএনএ