বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: দীর্ঘ ১৪৬ বছরের গৌরবময় ইতিহাসের ধারক নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। প্রথমে পৌরসভা হিসাবে যাত্রা শুরু করলেও পরে এটি সিটি করপোরেশনে রূপ নেয়। নারায়ণগঞ্জ ছিল উপমহাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পৌরসভা। কোম্পানি শাসনামলে বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে নারায়ণগঞ্জ প্রসার লাভ করে। এরপর ধীরে ধীরে নদী বন্দর এবং রেল যোগাযোগ স্থাপিত হলে ঢাকার প্রবেশপথ হিসেবে পরিচিতি পায় নারায়ণগঞ্জ। ২০১১ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভাকে যুক্ত করে যাত্রা শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের।
১৭৬৬ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে বিকন লাল পান্ডে কয়েকটি মৌজা লিজ গ্রহণ নেন যেখানে পরে নারায়ণগঞ্জ নগর গড়ে উঠে। ১৮৭৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর ৪জন মনোনীত এবং ৮ জন নির্বাচিত কমিশনার নিয়ে যাত্রা শুরু করে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভা। প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন এইচটি উইলসন। তখনকার বঙ্গ প্রদেশে নারায়ণগঞ্জ একটি ‘মডেল পৌরসভা’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।
১৮৮০ সালে নারায়ণগঞ্জকে শুল্কমুক্ত বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এই বন্দর নগরী হয়ে ওঠে ঢাকার প্রবেশদ্বার। ১৯৫১ সালে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার প্রথম বাঙ্গালি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জনাব সৈয়দ মোহাম্মদ মালেহ।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে আলী আহাম্মদ চুনকা নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন পর ২০০৩ সালের নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন চুনকার মেয়ে সেলিনা হায়াত আইভি। টানা দুই মেয়াদ এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ, সিদ্ধিরগঞ্জ ও কদমরসুল পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালের ৫ মে গঠন করা হয় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন। ৭২ দশমিক ৪৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত এ সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড রয়েছে ২৭টি। জনসংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। ভোটার রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫১১ ও নারী ভোটার দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮৪৬ জন।
২০১১ সালের ৫ই মে প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শামীম ওসমানকে এক লাখেরও বেশি ভোটে হারিয়ে দেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র নির্বাচিত হন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
২০১৬ সালের ২২শে ডিসেম্বর দ্বিতীয় নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে হারিয়ে মেয়র পদে পুনঃনির্বাচিত হন নৌকা প্রতীকের আইভী।
Bnanews24 অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ