বিএনএ,চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামে ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় দুই মাস আগে সংঘটিত গৃহবধু সুপ্তি মল্লিক (২২) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) খুনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে জাকির হোসাইন।
শনিবার (১৬ জানুয়ারি) পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা এসব তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ঢাকার আশুলিয়া থানার নিশ্চিন্তপুর এলাকা থেকে জাকির হোসাইনকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। গ্রেপ্তার জাকির হোসাইন লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানার চর আফজাল গ্রামের মো. বাহার উদ্দিনের পুত্র। বর্তমানে রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই থানার চন্দ্রঘোনা এলাকায় থাকেন।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, সুপ্তি মল্লিক খুন হওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি আমরাও ছায়া তদন্ত শুরু করি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমরা জাকিরকে খুনি হিসেবে শনাক্ত করার পর তাকে গ্রেফতার করি। জাকির মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে খুনের বিবরণ দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আদালত দেওয়া জবানবন্দিতে জাকির জানায়,পাশাপাশি বাড়ি হওয়ার সুবাদে ২০১৪ সালে সুপ্তি মল্লিকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ২০১৮ সালে তারা পালিয়ে বিয়ে করেন। তিন-চার মাস সংসার করার পর দুইজনের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। গত বছরের ১৪ আগস্ট বাসুদেবের সঙ্গে সুপ্তির বিয়ে হয়। এরপর বাসু দেবের সঙ্গে চট্টগ্রামে চলে আসে সুপ্তি।
বিয়ের পরও জাকিরের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সুপ্তির। গত ৪ নভেম্বর নগরের ডবলমুরিং থানার পানওয়ালাপাড়ার নাসিমা মঞ্জিলে সুপ্তির বাসায় আসেন জাকির। পূর্বের সম্পর্কের বিষয় নিয়ে দুইজনের মধ্যে বিবাদ হয়। একপর্যায়ে গামছা পেঁছিয়ে সুপ্তি মল্লিককে হত্যা করে পালিয়ে যান জাকির। পুলিশ যাতে শনাক্ত করতে না পারে সে জন্যে যাওয়ার সময় সুপ্তির ব্যবহার করা দুইটি মোবাইল ফোন নিয়ে যান তিনি।
এদিকে সুপ্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা সাধন কুমার মল্লিকের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় স্বামী বাসু দেব ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে। বাসু দেব একটি ফার্মেসিতে চাকরি করতেন। অনুপম সেলুনে। তারা এখনো কারাগারে। হত্যা মামলাটিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডবলমুরিং থানা পুলিশ তাদেরকে তিনদিনের রিমান্ডেও নিয়েছে।
বিএনএনিউজ/মনির