বিশ্বডেস্ক: ওয়াশিংটন ব্যাপক বোমাবর্ষণ এবং স্থল অভিযানের পরিবর্তে হামাস নেতাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে গাজায় যুদ্ধের দিকে মনোনিবেশ করার জন্য ইসরায়েলকে চাপ দিচ্ছে। ইসরাইলের টার্গেট এখন গাজার প্রশাসনের তিন নেতা যথাক্রমে মোহাম্মদ দেইফ, মারওয়ান ইসা ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
শুক্রবার(১৫ ডিসেম্বর) হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ জনগণ ও হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরের পরিবর্তে শুধুমাত্র হামাসের লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালাতে ইসরাইলকে পরামর্শ দিয়েছে। খবর আরব নিউজের।
ইসরাইল সফরের সময় সাংবাদিকদের নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ইসরাইল-গাজা যুদ্ধের দ্বিতীয় পর্ব হবে
শুধুমাত্র হামাসের অবস্থান ও নেতারা।
খবরে বলা হয়, ইসরায়েলের যুদ্ধের শীর্ষ লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে মোহাম্মদ দেইফ, যিনি হামাসের সামরিক শাখার প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন; তার সেকেন্ড ইন কমান্ড, মারওয়ান ইসা; এবং গাজায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার।
ইসরায়েল এখন পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাপকে এড়িয়ে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যাকার ওপর অবিরাম গোলাবর্ষন, পশ্চিমতীর সহ সমগ্র ফিলিস্তিনে ব্যাপক ধরপাকড়, বাড়ি দখল, হত্যা, তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। যা ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে শুরু হয়।হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ ইসরাইলী নিহত, ২৪০জনকে জিন্মি করে হামাস। এরপর থেকে গাজাসহ পুরো ফিলিস্তিনে হামলা করে যাচ্ছে ইসরাইল। এতে শুধু গাজায় ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৯হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছে। যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
“ঠিক কবে থেকে ইসরাইল গাজা উপত্যাকায় ব্যাপক হামলা বন্ধ করবে’ সে সম্পর্কে মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা কিছুই বলতে পারেন নি।
মার্কিন উপদেষ্টার সাথে বৈঠকের পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন,যে তিনি সুলিভানকে বলেছেন যে যুদ্ধ “কয়েক মাসেরও বেশি” স্থায়ী হবে।
বিএনএ,এসজিএন