বিএনএ নারায়নগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার। বিএনপি দলীয়ভাবে কোনো প্রার্থী না দেয়ায় স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) পৃথক সময়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। দুপুর দেড়টার দিকে সেলিনা হায়াৎ আইভীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
এর আগে বেলা ১২টার দিকে তৈমুর আলম খন্দকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। সে সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামালসহ নেতা–কর্মীরা।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর শহরের দেওভোগের বাড়িতে সেলিনা হায়াৎ আইভী সাংবাদিকদের বলেন, এলাকার জনগণ হচ্ছে তার আস্থা। জনগণ তাকে ভোট দেবে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। এছাড়া, নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি নেতা তৈমুর আলমকে স্বাগত জানান সেলিনা হায়াৎ আইভী।
তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, সিটি করপোরেশনকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে জনগণের পক্ষ থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। উৎসবমুখর পরিবেশে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তৈমুর আলম। নির্বাচিত হলে নগরের জলাবদ্ধতা দূর করা, মশামুক্ত ও বায়ুদূষণমুক্ত পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
এদিকে, সন্ধ্যায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিয়ুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে মোট ২১০ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে মেয়র পদে আটজন, নয়টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৬ জন এবং ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৬৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেন প্রার্থীরা।
মেয়র পদে যে আটজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন, এ বি এম সিরাজুল মামুন- খেলাফত মজলিস, তৈমুর আলম খন্দকার- স্বতন্ত্র, সেলিনা হায়াৎ আইভী- বাংলদেশ আওয়ামী লীগ। মওলানা. মো. মাছুম বিল্লাহ- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ- স্বতন্ত্র, মো. কামরুল ইসলাম- স্বতন্ত্র, মো. জসীম উদ্দিন- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন এবং মো. রাশেদ ফেরদৌস- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।
গত ৩০ নভেম্বর এই সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ২৮ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করা হবে আগামি ১৬ জানুয়ারি।
২০১১-এর সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার হচ্ছে তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬-এ সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট হবে।
বিএনএনিউজ/বুলবুল,আরকেসি