26 C
আবহাওয়া
১০:১৮ পূর্বাহ্ণ - মে ৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিচার শুরু

ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিচার শুরু


বিএনএ চট্টগ্রাম: অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছে আদালত।

বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এই চার্জ গঠন করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদ। সেইসঙ্গে আগামি ১৭ জানুয়ারি  মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এর আগে কড়া নিরাপত্তায় প্রদীপ কুমারকে আদালতে হাজির করানো হয়। তার স্ত্রী চুমকি পলাতক রয়েছেন।  তাকেও দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারিক কার্যক্রমের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)র আইনজীবী মাহমুদুল হক।

সংবাদ মাধ্যমকে দুদকের আইনজীবী বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে আদালত। কিন্তু তার স্ত্রী পলাতক। এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। ওসি প্রদীপকে নির্দোষ দাবি করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তার আইনজীবী । রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।

বিচারক অভিযোগ গঠনের পর তা পড়ে শুনালে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ওসি প্রদীপ। এর আগে গত ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ইতোপূর্বে আদালত ক্রোক করেছে। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটায় থাকা ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, একটি করে কার ও মাইক্রোবাস এবং কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রের তত্ত্বাবধানে রিসিভার নিয়োগ করা হোক।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রদীপ-চুমকির মালিকানায় থাকা চার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করার আদেশ দেয় আদালত।

৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার বাদী সরকারী সংস্থাটির চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন।

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার আসামি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে উল্লেখিত সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, প্রদীপের বাবা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) একজন নিরাপত্তাপ্রহরী ছিলেন। ১৯৯৫ সালে উপ-পরিদর্শক (এসআই) পদে যোগ দেন প্রদীপ। ২০০২ সাল থেকে তার সম্পদগুলো দৃশ্যমান হতে থাকে। নানা কারণে আলোচিত হন তিনি।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ