বিএনএ, চট্টগ্রাম: যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। তাদের সাথে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ দমনসহ বহুমাত্রিক সুসম্পর্ক রয়েছে। উভয়দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করছে। র্যাব ও পুলিশের কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তার প্রতি সম্প্রতি আরোপিত নিষেধাজ্ঞা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে উভয়দেশের বিদ্যমান সুসম্পর্কে কোন প্রভাব পড়বেনা বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) নগরীর জামালখানস্থ প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয় দিবসের আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, র্যাব ও পুলিশ দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ দমনে ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। এসব সংস্থার কারণে জঙ্গীবাদ মাথাচড়া দিয়ে ওঠার পূর্বেই দমন করা সম্ভব হয়েছে। তাই স্বাধীনতা বিরোধী, জঙ্গীবাদী ও দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী অপশক্তি বহিরাষ্ট্রে দেশের সুনাম নষ্ট করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বাংলাদেশকে খাটো করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। সাম্প্রতিককালের এসব ঘটনা তাদের অপচেষ্টার কারণে হয়েছে কিনা তা দেখতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে এসব অপশক্তি বিদেশী বন্ধুরাষ্ট্রগুলোকে বিভ্রান্ত ও প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আমরা সকল বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রের সাথে সমানতালে কাজ করে এগিয়ে যেতে চাই। উন্নয়ন বিরোধীদের বিভ্রান্ত থেকে সকলকে সাবধান থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধুকে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী ও রাজনীতির কবি অভিহিত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৪৮ সাল থেকেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তাঁর বিভিন্ন কার্যক্রম ও বক্তৃতা বিবৃতিতে তা স্পষ্ট ফুটে ওঠে। কমরেড মণি সিংসহ অন্যান্য নেতার বক্তৃতা ও সেসময়ের গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে তার প্রমাণ মেলে। বঙ্গবন্ধু জানতেন কখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে হবে। তাই তিনি ধীরে ধীরে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছেন। ১৯৬৬ সালের ৬ দফা, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এ কার্যক্রমেরই অংশ। সবশেষে বঙ্গবন্ধু কৌশলে ৭ মার্চের ভাষণে কার্যত এবং ২৬ মার্চ পরিস্কার স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছেন। বীর বাঙালি বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছেন। বঙ্গবন্ধুৃ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার দেওয়া স্বাধীন রাষ্ট্রকে বর্তমানে উন্নয়নের সব সূচকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বের দরবারে মর্যাদার আসনে অধীষ্ঠিত করেছেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উত্তর জেলা সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, সহসভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ মাঈনুদ্দিন, এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ, স্বজন কুমার তালুকদার ও অঙ্গসংঘঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
বিএনএ/এমএফ