সাভার: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা মিজ্ ফরিদা আখতার দেশীয় জাত সংরক্ষণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) কে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশীয় অনেক জাতই এখন বিলুপ্তপ্রায়। এসব জাত যাতে পুরোপুরি বিলুপ্ত না হয়ে যায়, সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। জাতীয়ভাবে অনেক সময় কোনো বিষয়ের গুরুত্ব বোঝা যায় না, এলাকাভিত্তিক গবেষণার ক্ষেত্রে সেটি সহজেই বোঝা যায়। তাই এলাকাভিত্তিক গবেষণার বিকল্প নেই।
উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার(১৪ নভেম্বর) সাভারে বিএলআরআই -এর বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেছেন।
উপদেষ্টা বলেন, বিএলআরআই যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তা জনগণের কাছে পৌঁছাতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষের কিছু পাওয়ার সুযোগ তৈরি করতে হবে। উৎপাদক পর্যায়ে উৎপাদন খরচ কমানোর লক্ষ্যে খামারিদেরকে সেবা বা সেবামূলক তথ্য দিতে হবে। উৎপাদন খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করলে আমাদেরকে বাইরে থেকে মাংস বা ডিম আমদানি করতে হবেনা। তবেই আমরা প্রকৃতপক্ষেই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।
গ্রামীণ নারী খামারিদের প্রসংশা করে ফরিদা আখতার বলেন, গ্রামীণ নারীরা প্রাণীর চরিত্র বোঝেন। কোন প্রাণীর আচরণ কেমন, কোন গরু কেমন দুধ দেয়, কোন গরুর দুধের স্বাদ কেমন, কোন মুরগি কেমন ডিম দেয় সেসবই তারা জানেন। তিনি বিএলআরআই এর নারী বিজ্ঞানীদের সংখ্যায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেছেন প্রাণিসম্পদ গবেষণায় নারী বিজ্ঞানীদেরও ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে।
বিএলআরআই এর মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব শাহীনা ফেরদৌসী ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিএলআরআই এর বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান/দপ্তর প্রধান, প্রকল্প পরিচালকসহ সকল পর্যায়ের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে উপদেষ্টা বিএলআরআই এ একটি আম গাছের চারা রোপণ করেন। তিনি ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন গবেষণাগার ও খামার পরিদর্শন করেন। পরির্দশনের মধ্যে ছিল ট্রান্সবাউন্ডারি এ্যানিমেল ডিজিজ রিসার্চ সেন্টারের ভ্যাকসিন এন্ড বায়োলজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি, দেশি মুরগির খামার, ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের খামার, মহিষ খামার, বিএলআরআই ফডার জার্মপ্লাজম ব্যাংক এবং রেড চিটাগাং ক্যাটেল (আরসিসি) গরুর গবেষণা খামার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, উপদেষ্টা হিসেবে আমরা শপথ নিয়েছি দেশের কল্যাণে কাজ করার জন্য। দেশে অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিপ্লবের মাধ্যমে এসেছে এবং আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এতে শহীদদের অবদান আছে। ‘জুলাই-আগস্ট’ বিপ্লবে আহতদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সরকার আন্তরিকভাবে সচেষ্ট। কারণ আহতদের অনেকেই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তাদের ত্যাগের কারণেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন