বিএনএ, রাঙ্গামাটি : পার্বত্য উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ও রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরীর সাথে ইউএন প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষ ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কাপ্তাই হ্রদকে পর্যটন এলাকা উন্নয়ন সহ সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।
দুই চেয়ারম্যানের সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘ আবাসিক প্রতিনিধি মিস্টার স্টেপান লিলার, ইউএনএফপিএ মিসেস ক্রিস্টিন ব্লকহাস, এফএও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিঃ রবার্ট সিমসন, ইউনিসেফের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ মিঃ শোল্ডেন ইয়েট, ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান এইচ ই চার্লস হোয়াইটলি, যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার এইচ ই মিঃ রবার্ট চ্যাটারন ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এইচ ই এসপেন রিক্টর সেভেন্ডসেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিসেস গাইউইন লুইস রাষ্ট্রদূত ও দাতা সংস্থার সদস্যরা সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একটি পর্যটন সম্ভাবনা এলাকা। রাঙামাটির কাপ্তাই লেককে যদি পর্যটনে উন্নয়ন করা যায় তাহলে স্থানীয় পেশাজীবি মানুষ উপকৃত ও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন। ইউনিসেফের সহায়তায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প সমাপ্ত হওয়া পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করছেন তিনি।
অন্যদিকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী পরিদর্শন টীমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, শান্তি চুক্তির পরবর্তী বর্তমান সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন প্রকল্প বান্তবায়ন করে যাচ্ছে। শান্তিচুক্তির পর ইউএনডিপির মাধ্যমে বিদেশী দাতাদের সহায়তায় পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন জেলার প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল জাতীয়করণ, ম্যালেরিয়া নির্মূলকরণ এবং কৃষিক্ষেত্রে সাফল্য আত্মসামাজিক উন্নয়নসহ নারীশিক্ষা উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় দাতা সংস্থাদের বিভিন্ন উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের অংশ হিসাবে শান্তিচুক্তি হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, ভারত প্রত্যাগত এবং অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে টাস্কফোর্স এবং ভূমি সমস্যা সমাধানে ভূমি কমিশন সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের দারিদ্রতা বিমোচন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় দাতা সংস্থাগুলো এগিয়ে আসবে।
সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ও আর্ন্তজাতিক দাতা সংস্থার প্রতিনিধি, জেলা পরিষদের সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, ঝর্না খীসা, মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আশরাফুল ইসলাম ও নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মোঃ শিবলী নোমান, উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য প্রশাসন ইফতেখার আহমেদ (যুগ্ম সচিব), মোঃ জসীম উদ্দিন (উপসচিব) সহ বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন/ এইচ.এম।