25 C
আবহাওয়া
৪:২২ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের গেট

বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হলো কাপ্তাই বাঁধের গেট


বিএনএ, রাঙামাটি:  টানা বৃষ্টি ও উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে কাপ্তাই লেকে চলতি বছর প্রচুর পানি হয়েছে। ফলে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে পাহাড়ের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল, অনেক উপজেলায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তাই এবার বন্যা নিয়ন্ত্রণে খুলে দেয়া হয়েছে কাপ্তাই উপজেলায় অবস্থিত কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাঁধের স্পিলওয়ে (গেট)।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাপ্তাই লেকের পানি অতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শুক্রবার সকালে বাঁধের ১৬টি গেট ৬ ইঞ্চি করে খোলার মাধ্যমে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি বের করে দেয়া হবে। এতে আরও জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে ১০৭.৫৪ এমএসএল (মীনস সী লেভেল) পানি রয়েছে। ফলে লেকের উজান ও নিম্ন এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্পিলওয়ের গেট উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু হবে। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন হচ্ছে। পানির পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলে এই আদেশ পরিবর্তন করা হতে পারে বলে জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

পরিবেশবাদীরা জানান, কাপ্তাই বাঁধের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল। সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতার কাছাকাছি চলে যাওয়ার ফলে রাঙামাটি জেলার লংগদু, বরকল, বিলাইছড়ি ও রাঙামাটি সদরের অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল লেকের পানিতে তলিয়ে গেছে। দীর্ঘদিন কাপ্তাই লেকে ড্রেজিং না হওয়া ও অপরিকল্পিতভাবে লেক দখল করে ভবন নির্মাণের ফলে লেকের নাব্যতা কমে গিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে দাবি পরিবেশবাদীদের।

এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটি এম আবদুজ্জাহের বলেন, আজ স্পিলওয়ে খোলার মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন শুরু হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি আরো পর্যবেক্ষণ করবো। পরবর্তীতে পরিস্থিতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উল্লেখ্য যে, কাপ্তাই লেকের পানি বৃদ্ধির ফলে রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) হতে পানিতে ডুবে আছে সিম্বল অব রাঙামাটি খ্যাত ঝুলন্ত সেতু।

বিএনএ/ কাইমুল ইসলাম ছোটন, ওজি /হাছিনা আখতার মুন্নী

Loading


শিরোনাম বিএনএ