বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুর পাড় এলাকায় মেহেরুন্নেসা মীম (১৭) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী অভিযুক্ত সোহেল মিয়া পলাতক রয়েছেন। মীমকে অচেতন অবস্হায় ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক বিকেলে মৃত ঘোষণা করেন।
মীমের বোন তন্নিকা জানান, চার বছর আগে প্রেম করে সোহেলকে বিয়ে করে আমার বোন। তাদের দুই বছরের একটি সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই মীমকে সোহেল মিয়া বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত। মঙ্গলবার দুপুরে সোহেল বলে আমার গোপন জায়গায় একটি বিষফোঁড়া উঠেছে এই কথা বলে আমার বোনকে বাথরুমে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সে বাথরুম থেকে বের হয়ে আমাকে বলে, আমি ওষুধ কিনতে গেলাম। পাশের এক প্রতিবেশী দেখতে পায় আমার বোন মীম বাথরুমের ভেতরে উপুড় হয়ে পড়ে আছে। পরে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, আমার বোনের গলায় কালো দাগ রয়েছে। চিকিৎসক ধারণা করছেন, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বাড়ি বরিশাল ঝালকাঠি জেলায়।
এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে আছি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। গৃহবধূকে হত্যার পর স্বামী পলাতক রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
বিএনএনিউজ/আজিজুল হাকিম,বিএম