বিএনএ, চট্টগ্রাম : নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচর থেকে পালানোর সময় সাগরে ধরার ট্রলার ডুবে ২৭ রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়েছে। শুক্রবার (১৩ আগস্ট) মধ্যরাতে ভাসানচর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগরের মেঘনা নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটলেও জানাজানি হয় শনিবার। নিখোঁজদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা বেশি বলে জানা গেছে।
নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুসহ এক পরিবারের কয়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো সুপাইয়া (৮), কিসমত আরা (৬), ফেরদাউস (৫), সকিনা (৪), নূর আয়শা (৩ মাস)। তাদের বাবা আব্দুর রহমানকে (২৮) নদীর জেলেরা উদ্ধার করেছেন বলে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন। তাদের মা সোনা মোহর বর্তমানে ভাসানচরে রয়েছেন। আব্দুর রহমান তার স্ত্রীকে ভাসানচরে রেখে পাঁচ সন্তানকে নিয়ে অন্যদের সঙ্গে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের কাছে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ওই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে নারী-শিশুসহ ৪১ জন রোহিঙ্গা ছিলেন। তাদের মধ্যে শনিবার ভোরে ১৪ জনকে নদীতে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের সহায়তায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তারা ভাসানচরে ফিরে এসেছেন। এখনো ২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভাসানচর ক্যাম্পের ইনচার্জ সহকারী কমিশনার সুজিত কুমার চন্দ জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করছেন। তবে নিখোঁজ রোহিঙ্গাদের নাম-পরিচয় এখন পর্যন্ত পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন কাজী শাহ আলম বলেন, নোয়াখালীর ভাসানচর চ্যানেল থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ট্রলার ডুবে ২৭ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ রয়েছেন। আশেপাশে থাকা জেলেরা ১৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। বাকিদের উদ্ধারে কাজ চলমান রয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/আমিন