ধর্ম ডেস্ক: লাখো কণ্ঠে আরাফার ময়দান আজ ধ্বনিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। শনিবার (১৫ জুন) সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করবেন সারা বিশ্ব থেকে জড়ো হওয়া লাখো লাখো মুসলমান। আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফাতে অবস্থানই হলো হজ (মুসনাদে আহমদ ৪/৩৩৫)।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান সব মুসলমান পুরুষ ও নারীর ওপর হজ ফরজ। জিলহজ মাসের নির্দিষ্ট দিনে হজের নিয়তসহ ইহরাম পরিধান করে আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা এবং পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করাই হজ।
এরইমধ্যে, আরাফার ময়দানে পৌঁছে গেছেন বেশিরভাগ মুসল্লি। তারা বিভিন্ন স্থানে বসে করছেন জিকির-আসগার। হজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনটির সব নিয়মকানুন নির্বিঘ্নে পালনে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। মসজিদে নামিরা থেকে আজ হজের খুতবা দেবেন মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের আল মুয়াইকিলি। একই সাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজও পড়াবেন তিনি। জোহর আর আসরের নামাজ একসাথে আদায় করবেন হাজিরা।
আরাফাতের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সূর্যাস্তের ঠিক আগে হাজিরা রওনা দেবেন মুজদালিফার পথে। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায়ের পর শয়তানকে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল ভোরে মিনায় ফিরে শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়বেন মুসল্লিরা। এরপর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করবেন হাজিরা। পবিত্র কাবা ঘরে করবেন বিদায়ী তাওয়াফ।
পবিত্র হজের মাধ্যমে বান্দার গুনাহ মাফ করেন মহান আল্লাহ। হাদিসে বর্ণিত রয়েছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হজ করে এবং অশ্লীল ও গুনাহর কাজ থেকে দূরে থাকে, সে নবজাতক শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে যায়। আর প্রকৃত হজের পুরস্কার জান্নাত ছাড়া অন্য কিছুই নয়। (বুখারি: ১/২০৬)।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ