বিএনএ, ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমকে আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৫ মে) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ সংগঠনের গঠনতন্ত্রের বিধি মোতাবেক গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।
এর আগে রোববার (১৪ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ওঠে।
আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সূত্র জানায়, রোববার বৈঠকে নেতারা বলেন, জাহাঙ্গীর আলম আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। এরপর দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ক্ষমা চাওয়ায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এখন তিনি ফের দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী হন। শুধু তিনি নন, তার মাকেও প্রার্থী করেন। নিজের মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর মায়ের পক্ষে প্রচারও চালান। এ সময় দলের বিপক্ষেও কথা বলেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জাহাঙ্গীর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এসব কারণে তিনি আওয়ামী লীগ করার অধিকার হারিয়েছেন।
একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা জাহাঙ্গীরের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে একমত হন। পরে সিদ্ধান্ত হয়, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানাবেন। জাহাঙ্গীর আলম যেন দলের কোনো কর্মকাণ্ডে যুক্ত না হতে পারেন, ওই সিদ্ধান্তই গৃহীত হয়।
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানিয়েছে, সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে ওবায়দুল কাদের সম্পাদকমণ্ডলীর সুপারিশের কথা দলীয় প্রধানকে জানান। এরপর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাহাঙ্গীরকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন।
বিএনএনিউজ/বিএম