বিএনএ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাজ্জাদ হোসেন (২১) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত ৮ মে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের হাদিরপুকুর পাড় এলাকায় একটি বসতঘরের বৈদ্যুতিক কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হয়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
তবে তার মৃত্যু নিয়ে এলাকায় নানান গুঞ্জন রটানোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
রোববার (১৪ মে) উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের হাদিরপুকুর পাড় এলাকা ঘুরে স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত সাজ্জাদ হোসেন শান্তশিষ্ট ছেলে ছিলো। তার বাড়ি এখানে না হলেও সে দীর্ঘদিন ধরে তার খালার বাড়িতে থাকতো। সোমবার (৮ মে) রাতে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের হাদিরপুকুর পাড় এলাকায় ঘরের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে মারা যায়।
স্থানীয় দোকানদার বলেন, নিহত সাজ্জাদ আমার ছেলের বন্ধু, ঘটনার দিন আমার ছেলে তার সাথে ছিলো। সে কাজ করতেছিলো এবং আমার ছেলে বসে ছিলো। এসময় হঠাৎ করে ওয়াল ফ্যানের সাথে ঘাঁ লাগিয়ে বাতাস নেওয়া সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় সে। পরবর্তীতে আমার ছেলে তাঁকে মেডিকেলে নিয়ে যায়।
স্থানীয় আরেক দোকানী কায়সার বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সাজ্জাদ মারা গেছে, তার সাথে এলাকার কারো সাথে কোনো ঝামেলা ছিলো না। শুনেছি ঘরে কাজ করার সময় বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে তার মৃত্যু হয়েছে।
সত্তরোর্ধ আব্দুস সামাদ বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, হাঁটাচলা করতে পারিনা ভালো করে। যে ছোট ছেলেটা মারা গেছে তার সাথে আমার তেমন পরিচয়ও নাই, মাঝামাঝি এলাকায় দেখি। ছেলেটি বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে। বিষয়টি সবাই জানে কিন্তু ছেলেটির মামার সাথে পুরেনো কিছু সমস্যা থাকার কারণে সবাইকে বলতেছে আমি আর এলাকার কয়েকজন মিলে না-কি ছেলেটাকে হত্যা করেছি। অথচ ছেলেটা যে জায়গায় মারা গেছে সেটা বিলের মাঝখানে। যেটা আমার বাড়ি থেকে অনেক দূরে। তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে আমার মানহানি করতেছে।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর্জা মুহাম্মদ হাসান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে তার মৃত্যু হয়েছে। বাকিটা পোস্টমর্টেম রিপোর্টের পরে বলা যাবে।
বিএনএনিউজ/এনামুল হক নাবিদ,বিএম