বিশ্ব ডেস্ক: নাইট ক্লাবে বন্ধুর সাথে বিপদজনকভাবে নাচানাচির ভিডিও ভাইরাল এবং মাদক টেস্ট দিতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপনের পর ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন, যিনি বিশ্বের সর্বকনিষ্ট নারী প্রধানমন্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। এরআগে ভিডিও ভাইরাল এবং মাদক টেস্টজনিত কারণে প্রধানমন্ত্রী পুনঃনির্বাচনের একটি বিডে হেরে যান।
সিটিএন নিউজ জানায়, বিতর্কিত পার্টি ভিডিও ঝড়ের পরে ফিনল্যান্ডের ৩৭ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন সম্প্রতি তাদের ১৯ বছরের দাম্পত্যজীবন অবসানের ঘোষণা দিয়ে বলেন, আমরা উভয়ে যৌথভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেন, আমরা উভয়ে আমাদের একমাত্র কন্যাকে সময় দেব।ভবিষ্যতে আমরা দুজনের কেউই এই ব্যক্তিগত বিষয়ে আর কোন মন্তব্য করবোনা।
দেশটির বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন, ওলাভি উসিভারতা নামে পরিচিত একজন ফিনিশ সঙ্গীত শিল্পীর সাথে একটি নাইটক্লাবে মার্টিনকে একান্ত অন্তরঙ্গভাবে নাচতে দেখা গেছে একটি ভিডিওতে। ভিডিওটিতে দুজন বিপজ্জনকভাবে নাচানাচি করেন যা তার বিয়ে নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন জন্ম দিয়েছে।
তবে গায়ক এবং মেরিন উভয়ই জোর দিয়ে বলেন যে “অনুপযুক্ত কিছু” ঘটেনি, তবে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী ফুটেজ প্রকাশের পর নিজের হতাশা প্রকাশ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাকে ড্রাগ পরীক্ষার জন্য অনুপযুক্ত বলে দাবি করেছিলেন, কিন্তু অবশেষে তিনি অবৈধ মাদকদ্রব্য ব্যবহার যে করেননি তা যাচাই করার জন্য পরীক্ষা দিতে সম্মত হন।
সানা মারিন হলেন একজন ফিনিশ রাজনীতিবিদ যিনি ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে দেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ফিনল্যান্ডের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য, দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল।তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৩৪ বছর।
সানা মারিন ১৬ নভেম্বর, ১৯৮৫ সালে ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে একটি শ্রমজীবী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি টেম্পের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রশাসনিক বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।
২০১২ সালে মারিনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় যখন তিনি টেম্পেরের সিটি কাউন্সিলে নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৫ সালে ফিনিশ পার্লামেন্টে সদস্য নির্বাচিত হন এবং সরকারের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মারিন ১০ ডিসেম্বর, ২০১৯-এ ৩৪ বছর বয়সে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন, তিনি সেই সময়ে বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর স্বীকৃতি পান। তার সরকার পাঁচটি দল নিয়ে গঠিত, যার সবকটিই নারীদের নেতৃত্বে, এটি বিশ্বের প্রথম সর্ব-মহিলা সরকার।
প্রধানমন্ত্রী মেরিন জলবায়ু পরিবর্তন, সমতা এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
তিনি সর্বজনীন মৌলিক আয় এবং একটি ছোট কর্মদিবসের মতো প্রগতিশীল আদর্শের একজন স্পষ্টভাষী সমর্থক ছিলেন। তার নেতৃত্ব আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হয়েছে, এবং তাকে সারা বিশ্বের রাজনীতিতে তরুণ মহিলাদের জন্য রোল মডেল হিসেবে দেখা হয়। সূত্র: চিয়াংরাই টাইমস।
বিএনএনিউজ২৪,এসজিএন