বিএনএ, জাবিঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) এক শিক্ষার্থীকে নিজ বাড়িতে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ সময় অভিযুক্ত দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।রোববার দিবাগত মধ্য রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সাভারের পাথালিয়া ইউনিয়নের ইসলামনগর এলাকার এক বাসায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত একজন মোঃ রাকিব হোসেনর (২৮) বাড়ি ঢাকায়। তার বাবার নাম মোঃ শাজাহান মিয়া। এছাড়া অপর একজন হলে মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ (২৮)। তার বাড়ি ঝালকাঠি জেলায়। তার বাবার নাম মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন খান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব ও মেজবাহ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৪২ ব্যাচের শিক্ষার্থী মিশুর অতিথি। মিশুর মাধ্যমে অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর সাথে পরিচয় হয়। পরে রোববার(১৪ মে) রাতে মিশু সহ অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীর বাড়িতে অবস্থান করে। পরেরদিন রাতে (১৫ মে) মিশু ব্যাক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করে। সেইসময় অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী বাসায় অবস্থান করছিলো। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী শারিরীক অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়লে অভিযুক্তরা সেই সুযোগে ধর্ষণ চেষ্টা করে বলে জানা যায়।
প্রাথমিক ভাবে অভিযুক্তরা গণমাধ্যমের কাছে ধর্ষণ চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) কে বলেন, ‘অভিযুক্তরা আমার ক্যাম্পাসের বড় ভাইয়ের বন্ধু। তার মাধ্যমে আমার তাদের সাথে পরিচয় হয়। তাদের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে ক্যাম্পাসে ঘোরাফেরা ও আলাপচারিতার মাধ্যমে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। গতকাল তারা মিশু ভাই সহ আমার বাড়িতে থাকে। আজকে মিশু ভাই ক্যাম্পাসে ছিলো না। তারা রান্না করে আমার সাথে খেতে চেয়েছিলো দেখে তাদেরকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। রান্নার অর্ধেক সময় আমি অসুস্থতার কারণে রেস্ট নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। আমার ঘুম ভাঙার পর দেখি একজন (রাকিব) আমার শরীরের ওপর আপত্তিকর অবস্থায় আছে। আমি পরে সেখান থেকে উঠে গিয়ে পাশের ঘরে গিয়ে দেখি অন্যজন (মেজবাহ) খুবই চিন্তিত অবস্থায় বসে আছে। আমি তাদের দুজনকে আমার বাসা থেকে বের করে দিয়ে গেইটের সামনে আটকে রাখি এবং আমার বন্ধুদের ফোন দেই। তারা তাদের (অভিযুক্তদের) ধরে নিয়ে যায়।’
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা খন্দকার বাংলাদেশ নিউজ এজেন্সি (বিএনএ) কে বলেন, ‘আমরা অভিযুক্তদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনের আওতায় এনেছি। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩৫৪ ধারায় মামলা করা হবে। পরবর্তীতে অভিযোগ প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তদের শাস্তি প্রদান করবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মহিবুর রৌফ শৈবাল বলেন, ‘ঘটনার খবর শুনতে পেয়ে আমি এবং সিকিউরিটি টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। পরে অভিযুক্তদের পুলিশের হাতে তুলে দেই। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবে।’
বিএনএ/ সানভীর, ওজি
