সাভার প্রতিনিধি : ঢাকার ধামরাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরির চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় নতুন সার্টিফিকেট ও ভোটার আইডি কার্ডে বয়স কমিয়ে চাকরি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সানোড়া ইউনিয়নের ৪১ নং শোলধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি মো: মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, দপ্তরি মোশাররফ হোসেন ১৯৯৯ সালে মোহীনি মোহন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। সেই সনদে উল্লেখিত তার বয়স ১ জুলাই ১৯৮০। এই অনুযায়ী দুইবার ভোটার হয়েছিলেন তিনি। ভোটার তালিকায় দেয়া তার নং – (২৬২৮৩৭০০০১৪১ ও ২৬২৮৫৫২৩৫০৮৪ )। তবে পরে দপ্তরি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি হলে বয়স কমাতে দুর্নীতির আশ্রয় নেন মোশাররফ। নতুন করে বয়স কমিয়ে তৈরি করেন এইট পাশের সনদ ও ভোটার আইডি কার্ড। নতুন সনদে দেখা যায়, একই নাম ঠিকানায় নতুন সনদ ব্যবহার করে নতুন ভোটার কার্ড (নং- ২৬২৮৫৫০০০০৬৭) তৈরি করেছেন তিনি। পরে নতুন সনদ দিয়েই সানোড়া ইউনিয়নের ৪১ নং শোলধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে চাকরি নেন তিনি।
জানতে চাইলে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, সবাই জানে বিষয়টা। তবে চাকরির সময় তার দেয়া কাগজপত্রই ভ্যালিড। তাছাড়া তার নিয়োগের সময় আমি ট্রেনিংয়ে ছিলাম। পুরো ঘটনা বলতে পারবেন সেসময় দায়িত্বে থাকা লোকজনেরাই। আমি এবিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।
ভোটার আইডি ও সার্টিফিকেট জালিয়াতি বিষয়ে জানতে চাইলে পরে কথা বলবেন জানিয়ে ফোন কেটে দেন অভিযুক্ত মো: মোশাররফ হোসেন।
এবিষয়ে জানতে শোলধন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাইফুল হককে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ধামরাই উপজেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার বলেন, ভোটার আইডি কার্ডের নিয়মিত যাচাই-বাছাই হয় আমাদের। কোন জালিয়াতি ধরা পড়লে আমরা প্রশাসনের সহায়তায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করি। তার বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নায়ার সুলতানাকে ফোন করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।