বিএনএ, রাউজান (চট্টগ্রাম): চট্টগ্রামের রাউজানে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। তরমুজের বিক্রয়মূল্যও ভালো। লাভের আশায় বুক বাধছেন কৃষকেরা। বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝলক।
উপজেলা কৃষি বিভাগের সূত্র মতে, রাউজানে এবার ৭২ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ডাবুয়া ইউনিয়নে দলবদ্ধভাবে ১০ জন কৃষক ৬৪ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেন। তাছাড়া রাউজান পৌরসভা, হলদিয়া, চিকদাইর, কদলপুর, পাহাড়তলী, রাউজান সদর ইউনিয়ন মিলে ৮ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন ৫০জন কৃষক।
এছাড়াও রাউজানে উৎপাদিত তরমুজের প্রজাতির মধ্যে রয়েছে গ্লোরি, পাকিজা, সুইট ড্রাগন, জাম্বু, জেব্রা কিং, ভিক্টর সুপার। রাউজানে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৪০-৪৫ মেট্রিক টন। প্রতিটি গড়ে ৫ কেজি ধরা হলে হেক্টর প্রতি উৎপাদন হবে ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার পিস। সে হিসেবে ৭২ হেক্টরে ৫ লাখ ৭৬ হাজার থেকে ৬লাখ ৪৮ হাজার পিস তরমুজ উৎপাদন হবে।
ডাবুয়া ইউনিয়নের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, দুইজন পাইকারী ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ৪০ লাখ টাকায় আড়াইশকানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। প্রতি কানিতে ৫০০ বৃত্তের প্রতিটিতে ৪টি করে তরমুজ বীজের লতা রোপন করেছি। প্রতিটি লতায় গড়ে দুটি তরমুজ উৎপাদন হলে কানি প্রতি তরমুজ উৎপাদন হবে ৪ হাজার পিস। ইতোমধ্যে ফলন আসতে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার টার্গেট রমজান। রমজান মাসে বিক্রি করবো। দামও ভালো পাবো। শুষ্ক মৌসুমে খালগুলো শুকিয়ে চোচির, পানি সেচ দিতে পারছি না। পানি দিতে পারলে ফলন আরও ভালো হবে। যেহেতু বর্তমানে তরমুজের দাম ভালো, সেহেতু লাভের আশা করছি।
রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, রাউজানে ৭২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। যাতে অনাবাদি না থাকে সেজন্য নোয়াখালি থেকে তরমুজ চাষে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কৃষক এনে তরমুজ চাষ করা হয়েছে। আশা করি কৃষকেরা লাভবান হবেন। রাউজানের তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় মাটি গরম হয়ে কিছু লতা মারা যাচ্ছে। প্রদর্শনীগুলোতে বীজসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
বিএনএ/ শফিউল আলম, বিএম