বিএনএ, গাজীপুর : একটা সময় ছিল, যে সব পরিবারে, অনেক অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কোন রকম দু-বেলা দু-মুঠো ডাল, ভাত খেয়ে -পড়ে। একটা পরিবারের কর্তাদের জীবন সংসার চালাতে কঠিন কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়তো। গাজীপুররের কাপাসিয়া এলাকায় সেই সব পরিবারে আজ সু-দিন ফিরতে শুরু করছে শুধু মাএ ঘাস চাষের সম্বাবনাময় অগ্রগতিতে।
দেশের বিভিন্ন এলাকাতে হরেক রকম সবজি বা বাহারি রকমের পন্য উৎপাদনে অনেক কৃষক অথবা খামারিদের স্বাবলম্বি হওয়ার খবর শূনা গেলেও। এ বারই প্রথম শুনা গেল শিল্প অঞ্চলের জেলা, গাজীপুরের ঘাস চাষী খামারিদের সফলতার গল্প।
জানাগেছে, এলাকার গরু খামারিরা যখন ক্রমাগত লোকসানের মূখে পড়ে ব্যবসা বৃন্দের পরিকল্পনা নিচ্ছিলেন। তখন তরুণ কিছু গরু খামারিদের মধ্যে দুই এক জনের মাথায় চিন্তা আসে ঘাস চাষ করার পরিকল্পনা। তারা ভাবেন জেলার মধ্যে যে সমস্ত ছোট – ছোট গরু খামার রয়েছে, তাদের কাছে এই ঘাস বিক্রি করবেন।
অপর দিকে তরুণদের এই পরিকল্পনার কথা শুনে সমাজের গণ্য – মান্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সাদরে বিভিন্ন প্রকার সহযোগিতার হাত বড়িয়ে দিয়েছেন। তরুণ কৃষক- বা খমারিরা তাদের উৎপাদিত ঘাস। সহজেই যেন বাজারজাত করতে পারেন। সে জন্য কাপাসিয়ার আমরাইদ বাজারে, ঘাস বেচা- কেনার জন্য। দিনের একটি নিদিষ্ট সময় বেধে দিয়েছেন। এখান থেকেই জেলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি গরু খামারিরা ঘাস ক্রয়করছেন।
ঘাস বেচা-কেনার খবর গাজীপুরের গন্ডি পেরিয় আশে- পাশের জেলা গুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে, গাজীপুরের পাশের জেলা, ময়মনসিংহ, নরসিংদী শেরপুর,জামালপুর, টাঙ্গাইল থেকেও কিছু খামারিরা ঘাস ক্রয় কারর জন্য আসছেন। দিন- দিন গণ মানুষদের কাছে নেপিয়ার পারচং-১ উন্নত জাতের ঘাস চাষে এবং ঘাস বাজারের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আমরাইদ এলাকার বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম জানান, ঘাস চাষ করে এবং পরবর্তীতে বাজারজাত সুবিধা পাওয়ায় এলাকার খামারিরা খুশি। তিনি বলেন, ঘাস চাষে অপার সম্ভাবনা দেখে অনেকেই এখন এ কাজে আগ্রহী দেখাচ্ছেন।
গাজীপুরের সমতলভূমি এলাকায় বসবাস করা অনগ্রসর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক ও জীবনমানের উন্নয়নের লক্ষে এবং সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে এ বাজার ব্যবস্থাপনা করছে কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
গাজীপুর ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকরাম হোসেন জানান, এই প্রথম এই শিল্প অঞ্চলের জেলায় নব উদ্যেগে ঘাসের বাজারের পথচলা শুরু হলো। এতে ঘাস উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি হবে এবং ঘাসের ওপর খামারিদের চাহিদা ও নির্ভরতা বাড়বে।
স্থানীয় সাংসদ সদস্য সিমিন হোসেনের রিমির চৌকস পরিকল্পনায় ঘাস চাষীদের কল্যাণে বাজার ব্যবস্থাপনা করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহনে কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরকে সকল প্রকার সহযোগিতা প্রদান করছেন।
কাপাসিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান মিয়া জানান, গরুর খাদ্য তালিকায় ঘাসের বিকল্প ভাল কিছু নেই। এ অঞ্চলের প্রায় দের হাজার ঘাস চাষ খামারি রয়েছে। বেকার এবং তরুণদের জন্য অথ’নীতির নতুন দোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনএনিউজ/এম. এস. রুকন, জেবি