বিএনএ, ঢাকা: মানিকগঞ্জ সদরের ভাড়ারিয়া গ্রামে মো. তুহিন মিয়া (৯) নামে এক শিশুর গায়ে ডিজেল দিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার মাদকাসক্ত বাবার বিরুদ্ধে। দগ্ধ শিশুকে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছে।এর আগে সকাল ৯টার দিকে ভাড়ারিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, মানিকগঞ্জ থেকে দগ্ধ অবস্থায় এক শিশুকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হলে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। শিশুটির শরীরের ১৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী সোহাগ মিয়া জানান, ভাড়ারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. তুহিন মিয়া। বাবা মোহিন মিয়া মাদকাসক্ত হওয়ায় ৩/৪ বছর আগে তার মা তাদেরকে রেখে অন্যত্র চলে যান। সেই থেকে বাবার সঙ্গে থাকতো ওই শিশু। সকালে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে ছিল তুহিন। হঠাৎ মোহিন মিয়া ডিজেল ছুড়ে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে সে দৌড়ে বাড়ির পাশে ইউপি সদস্য সেলিনা আক্তারের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় অভিযুক্ত বাবা ধারালো চাপাতি নিয়ে তাকে পেছনে থেকে ধাওয়া করেন। পরে ওই ইউপি সদস্য এবং প্রতিবেশী সোহাগ মিয়াসহ আরও কয়েকজন যুবক তার বাবাকে আটক করেন।
এ সময় শিশুর শরীরের আগুন পানি দিয়ে নেভান।এরপর শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে বিকেলে দিকে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়। এ সময় শিশুর দুই হাত পিঠ, বুক ও মুখমন্ডল আগুনে ঝলসে যায়।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় শিশুর মাদকাসক্ত বাবাকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশের হেফাজতে দিয়েছে।
বিএনএ/ আজিজুল, ওজি