বিএনএ ডেস্ক, ঢাকা: গণপিটুনিতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে এমন অডিও, ভিডিও বা খুদে বার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো বন্ধে পাঁচ দফা নির্দেশনাসহ হাইকোর্টের রায় প্রকাশিত হয়েছে।
রাজধানীতে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুকে হত্যার প্রেক্ষাপটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে এ রায় দেওয়া হয়।
তখন হাইকোর্টের বিচারপতি (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ে স্বাক্ষরের পর মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এর অনুলিপি প্রকাশিত হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান বলেন, রায়ে পাঁচ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট।
৫ দফা নির্দেশনায় আছে
১. গণপিটুনির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইলেকট্রনিক ও অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচারণা অব্যাহত রাখবে।
২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে কোনো ধরনের অডিও, ভিডিও, খুদে বার্তা, যা গুজব সৃষ্টি যা গণপিটুনিতে মানুষকে উত্তেজিত করতে পারে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তা বন্ধের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। যে দুষ্কৃতকারীরা এ কাজে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩. যখনই গণপিটুনির কোনো ঘটনা ঘটবে, কোনো রকম দেরি না করে তখনই থানার ওসি এফআইআর নিতে বাধ্য থাকবেন এবং দ্রুত সার্কেলের মনোনীত বিশেষ অফিসারকে জানাবেন।
৪. দেশের প্রতিটি থানার তদন্তকারী সার্কেল অফিসার এ ধরনের মামলাগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তিন মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করবেন।
৫. গণপিটুনিতে হত্যার আগে তাসলিমা বেগম রেনু উত্তর বাড্ডা প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের হেফাজতে ছিলেন সুতরাং ওই প্রধান শিক্ষক তার পদে থাকার উপযুক্ত কি না তা শিক্ষা সচিবকে তদন্ত করার জন্য এবং তদন্তে কোনো দোষ-ত্রুটি পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
বিএনএ/ এ আর