নিজস্ব প্রতিবেদক:রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ঢাকার সাথে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছোট-বড় শহর এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে আন্দোলন গড়ে ওঠে তার সূচনা হয়েছিল মূলত ঢাকায়। ঢাকা ছিল আন্দোলনের সূতিকাগার। বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে ঘোষণা দাবির যৌক্তিকতা থাকায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ওই আন্দোলনে একাত্ম হয়।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ১৯৪৭ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রফেসর আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে বেলতলায় এ সমাবেশের পর প্রায় তিন হাজার ছাত্র-জনতা মিছিল সহকারে সচিবালয় ঘেরাও করে।
এর আগে ১৯৪৭ সালের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শাসক খাজা নাজিমুদ্দীনের কাছে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে তমদ্দুন মজলিস কর্তৃক প্রথম স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এতে শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী ও বরেণ্য ব্যক্তিরা স্বাক্ষর করেন।
১৯৪৭ সালের ৪ ডিসেম্বর তমদ্দুন মজলিস মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির কাছে হাজার হাজার লোকের দস্তখত সংবলিত স্মারকলিপি প্রদান করে। ৫ ডিসেম্বর প্রফেসর আবুল কাসেমের নেতৃত্বে কয়েক অধ্যাপক ও প্রফেসর মিলে খাজা নাজিমুদ্দীনের বাসভবনে উপস্থিত হন।
যেখানে মুসলিম লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সেদিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রভাষা বাংলার প্রশ্নে প্রফেসর আবুল কাসেম ও আবু জাফর শামসুদ্দীনের সাথে প্রাদেশিক মুসলিম লীগ সভাপতি মাওলানা আকরম খঁার সাথে আলোচনা হয়। মাওলানা আকরম খঁা রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে মজলিস নেতাদের সাথে একমত পোষণ করেন।
