বিএনএ, ঢাকা : রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। রোববার(১৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে এ ঘটনা গুলো ঘটেছে। মরদেহ দুটি ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসোতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
সোমবার(১৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ বিষয় নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে অচেতন অবস্থায় নাদিয়া আক্তারকে (২১) হাসপাতালে নিয়ে আসে তার বাবা শফিউল আলম।
পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে তিনি জানান, নাদিয়া রামপুরা বনশ্রীর বি ব্লকের ছয় নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতো।মতিঝিল সেন্টাল গভমেন্ট কলেজের বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলো সে। রাতে বাসাতেই ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে । ২ভাই ২ বোনের মধ্যে সে ছিলো ২য়।
অপরদিকে বনানীর কড়াইল বস্তির বউ বাজার ক ব্লকের একটি ঘর থেকে রোববার রাত সাড়ে ১১টায় পপি খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করে বনানী থানা পুলিশ। বনানী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নওশাদ আলী জানান, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রাতে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাঁশের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্নহ্ত্যা করে সে। পরে পরিবারের লোকজন দেখতে পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে নামায়।
মৃত পপির বড় ভাই এখলাস মণ্ডল জানান, স্থানীয় ইরান কনসেপ্ট একাডেমির ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ছিলো পপি। সে পড়ালেখা ঠিকমত করতো না, বাইরে ঘুরাফিরা করতো। এইসব বিষয় নিয়ে রাতে মা তাকে বকাঝকা করে। এই কারণেই অভিমান করে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। ৩ ভাই ২ বোনের মধ্যে সে ছিলো ৪র্থ।
বিএনএ/ আহা, ওজি