বিএনএ, ঢাকা: রাজধানীর মতিঝিলের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে ‘আদিবাসী’ শব্দ সংবলিত একটি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল। সেখানে একটি গাছের পাঁচটি পাতায় লেখা ছিল মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী; পাশে লেখা ছিল ‘পাতা ছেঁড়া নিষেধ’। গত ১২ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ ব্যানারে এনসিটিবি ঘেরাও করার পর রাতে ওই বইয়ের অনলাইন সংস্করণ থেকে চিত্রকর্মটি সরিয়ে ফেলা হয়। এর প্রতিবাদে আজ বেলা ১১টায় পাঠ্যপুস্তক ভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা দেয় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একটি সংগঠন। একইসময়ে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’ও কর্মসূচি ঘোষণা দেয়।
এদিকে, বেলা ১টার দিকে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের একজন সামনে এগিয়ে এলে স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির ব্যানারে থাকা আন্দোলনকারীরাও এগিয়ে যান। পরে সংঘর্ষে জড়ায় দুইপক্ষ। এসময় সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং পরে তাদের দৈনিক বাংলা মোড়ের দিকে চলে যেতে দেখা যায়। পরে ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’র সদস্যরা এনসিটিবি ভবনের সামনে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
ঘটনার পর স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি দাবি করেছে, তাদের ওপর হামলা হয়েছে। অন্যদিকে সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা দাবি করেছে, তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে পরিকল্পিতভাবে।
সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার সংগঠক অলিক মৃ বলেন, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে ১১ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টির আহ্বায়ক জিয়াউল ইসলাম বলেন, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের হামলায় স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টির ১৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আমরা এর বিচার চাই।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাইমেনুল ইসলাম বলেন, ছাত্রদের ধাওয়া খেয়ে আদিবাসী বিক্ষোভকারীরা চলে গেছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ছাত্ররা সড়কের একপাশে অবস্থান করছে।
বিএনএনিউজ / আরএস/শাম্মী