বিএনএ, বিশ্বডেস্ক: নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ থেকে এখন পর্যন্ত ৬৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৫ জানুয়ারি) সকালে বিমানটি পোখারার কাসকি জেলায় বিধ্বস্ত হয়।
ধারণা করা হচ্ছে, আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বিমানটিতে তিন শিশুসহ ৬৮ যাত্রী এবং চারজন ক্রু ছিলেন। যাত্রীদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।
নেপালি কর্মকর্তাদের বরাতে ফারাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, পাহাড়ি এলাকায় যেখানে উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়েছে, সেখান থেকে ইতোমধ্যে ৬৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা এ কে ছেত্রী এএফপিকে বলেন, ৩১টি মৃতদেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আর বিমানটি যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছিল সেখানে আরও ৩৬টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (সিএএএন) বরাত দিয়ে এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উড়োজাহাজটি সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। উড়োজাহাজটি পোখারা বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে সেতি নদীর তীরে বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজটি ওড়ার প্রায় ২০ মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় উড়োজাহাজের যাত্রাপথ ২৫ মিনিট।
পোখারা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের এক কর্মকর্তা জানায়, বিমানটি পোখারা বিমানবন্দরের রানওয়েতে ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিধ্বস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে বিমানটির পাইলট বিমানবন্দরের পূর্ব প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। তাকে অনুমতি দেয়াও হয়। কিন্তু একটু পরই পাইলট বিমানবন্দরের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে ল্যান্ড করার অনুমতি চান। এবারও তাকে অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এবার ল্যান্ড করার মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
এদিকে মাটিতে পড়ে যাওয়ার আগে ঠিক কী ঘটেছিল বিমানটিতে, তার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। ভিডিওটি একটি বাড়ির ছাদে দাঁড়িয়ে তুলেছিলেন এক ব্যক্তি। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যায়, মাঝ আকাশেই ধীরে ধীরে বেঁকে যায় বিমানটি। তার পর প্রায় উল্টে যায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই ভয়ঙ্কর শব্দ শোনা যায়।
সামাজিক মাধ্যমে আরও কিছু ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। যেগুলোতে দেখা যায়, মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর আগুন লেগে যায় বিমানে। কালো ধোঁয়া বার হতে থাকে। সেই কালো ধোঁয়ায় আকাশ ঢেকে যায়।
ইয়েতি এয়ারলাইন্সের মুখপাত্র সুদর্শন বরতৌলা এএফপিকে বলেন, আমরা এখনই জানি না কেউ বেঁচে আছে কিনা। তবে উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে।
বিএনএ/এমএফ