বিএনএ, চট্টগ্রাম :বর্তমানে চট্টগ্রামে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তিন মাস ধরে ৩ ডিজিটের নিচেই ছিল সংক্রমণ, ছিল না মৃত্যু। চট্টগ্রামে দ্রুত সংক্রমণ বৃদ্ধিতে তৈরি হয়েছে শঙ্কা ও আতঙ্ক। পক্ষান্তরে কোথাও মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। সর্বত্রই উপেক্ষিত সরকার নির্দেশিত বিধিনিষেধ। ফলে বাড়ছে ঝুঁকি, আতঙ্ক।
যানবাহন, হাটবাজার, রাস্তাঘাট ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে খুব কম মানুষকেই মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিকেও পাত্তা দিচ্ছেনা কেউ। স্যানিটাইজার ব্যবহারের ক্ষেত্রে নেই তাগিদ।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। গত সপ্তাহে ১০০ জনের শরীরে সংক্রমণ শনাক্ত হলেও এ সপ্তাহে এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছে ৩০০ জনের শরীরে।
তিনি আরও বলেন, জনসাধারণকে সংক্রমণ এড়াতে যেসব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে—তা মানতে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে হেলাফেলা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই অবস্থা সংক্রমণ রোধে মোটেও সুখকর নয়। সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু সংখ্যা কম।
এদিকে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ২ হাজার ৩৮টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৯৬ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে এ সময়ে করোনায় মারা যাননি কেউ।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত নিয়মিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নতুন আক্রান্ত ২৬৩ জন মহানগরী এলাকার ও ৩৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে এক হাজার ৯৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩৯ জনের দেহে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়। এতে করে পরীক্ষার তুলনায় সংক্রমণের হার হয় প্রায় ১২ দশমিক ২৯ শতাংশ। আবার শনাক্তদের মধ্যে ২১৮ জন নগরের এবং ২১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।
বিএনএ/ ওজি
: