বিএনএ, ফেনী: সারাদেশের ন্যায় ফেনীতে নানা আয়োজনে ও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের ফেনী সরকারি কলেজে অবস্থিত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও ফেনী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর নেতৃত্বে বধ্যভূমিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।
এদিকে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তারের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসন, ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ফেনী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ফেনী সরকারি কলেজে অবস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আহমেদ অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ফেনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোক্তার হোসাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার শিফাত বিনতে আরা ও ফেনী জেলা কালচারাল অফিসার এস.টি কামরান হাসানের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা পুলিশ সুপার জাকির হাসান, ফেনী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো.শিহাব উদ্দিন, স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গোলাম মো. বাতেন ও ফেনী জজ আদালতের বিজ্ঞ পাবলিক প্রসিকিউটর বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আবু তাহের, আবদুল মোতালেব, প্রিয় রঞ্জন দত্ত, মোস্তফা হোসেন ও ফেনী সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. দেলওয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথি ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রাক্কালে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা সারাদেশের ন্যায় ফেনীতেও অসংখ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। বুদ্ধিজীবী হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।
বিএনএনিউজ/ এবিএম নিজাম উদ্দিন/ বিএম