বিএনএ: বিশ্ব বাজারে তেলের দাম কমেছে, তবে তা স্থিতিশীল নয়। বাজার স্থিতিশীল না হলে এর সঙ্গে তার মিলিয়ে দাম কমানো যায় না। বিষয়টি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) মনিটরিং করছে। একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাজারদর স্থিতিশীল না হলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দেশের বাজার দর পরিবর্তন করা যায় না। আন্তর্জাতিক বাজার স্থিতিশীল হলে দেশীয় বাজার দর সমন্বয় করা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল এসও এলাকায় মেঘনা ডিপোতে ঢাকা-চট্টগ্রাম তেলের পাইপ লাইন স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
ঢাকা-চট্টগ্রাম তেলের পাইপ লাইন স্থাপন প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে পতেঙ্গা বন্দর পর্যন্ত পাইপ লাইন করেছি। গভীর সমুদ্র বন্দর থেকে আগে তেল বড় জাহাজের মাধ্যমে আনা হতো। এরপর ছোট জাহাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হতো। এভাবে জাহাজের মাধ্যমে তেল আসতে ১২-১৪ দিন সময় লেগে যেত। এছাড়া তেল পরিবহনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হতো। পাইপ লাইনের মাধ্যমে খুব কম সময়েই আমরা এখন তেল সরবরাহ করতে পারবে। পাশাপাশি আমাদের তেল পরিবহন বাবদ ব্যয় কমে আসবে।
তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপ লাইনের কাজ এ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ শেষ হয়েছে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে মহেশখালী থেকে পতেঙ্গা এবং পতেঙ্গা থেকে মেঘনা ডিপোতে সরাসরি তেল আসবে। বাংলাদেশে পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহ পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন। আমরা পুরো প্রজেক্টটি বাংলাদেশের বিভিন্ন ঠিকাদার দিয়ে করাচ্ছি।
এছাড়া বিমানে বর্তমানে গাড়ির মাধ্যমে তেল সরবরাহ করা হয়। এটাও আমরা পাইপ লাইনের মাধ্যমে সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছি। এটি করতে পারলে ঢাকায় ট্রাফিকের ওপর চাপ কমবে। পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহের কারণে এখন সময় এবং খরচ দুটোই কম হবে। আর পাইপ লাইনের মাধ্যমে তেল সরবরাহে কোনো ঝুঁকি নেই। বিদেশে এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই তেল সরাবরাহ করা হয়ে থাকে।
যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পাইপ লাইন স্থাপন কাজ সম্পন্ন হচ্ছে তাদেরকে বিশেষ ধন্যবাদ জানান জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। পরে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবটিতে মেঘনা ডিপো পরিদর্শন শেষে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়িতে বজ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্লান্ট পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বিএনএ/এ আর