22 C
আবহাওয়া
১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৫, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তাদের সামরিক সচিবরা।

সে সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীর পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয় জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি।

এর আগে ভোর থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে আসতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানান রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও।

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২১ পালনের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সকালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত ও উপস্থিত  বীর মুক্তিযোদ্ধারা বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা। এরপর থেকে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন সর্বস্তরের জনগণ।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষ্যে দেশের সব মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ১৪ পরিকল্পনা করে বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামস।

একাত্তরে ত্রিশ লাখ শহীদের মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের বেছে বেছে হত্যার ঘটনা বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। এক সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা শহীদ হন। পরাজয় আসন্ন জেনে বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে বুদ্ধিজীবী নিধনের এই পরিকল্পনা করে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। পরাজয় একেবারেই সন্নিকটে জেনে সেই পরিকল্পনা কার্যকর করে তারা। তালিকাভুক্ত বুদ্ধিজীবীদের চোখ বেঁধে নিয়ে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎকে এভাবেই অন্ধকার করার পাঁয়তারা করেছিল হানাদাররা।

মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে অনেক বুদ্ধিজীবীকে ধরে নিয়ে মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে স্থাপিত আল-বদর ঘাঁটিতে নির্যাতনের পর রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর কবরস্থানে নিয়ে হত্যা করে আল-বদর বাহিনী।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন,অধ্যাপক মুনির চৌধুরী, ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক মুনিরুজ্জামান, ড. ফজলে রাব্বী, সিরাজ উদ্দিন হোসেন, শহীদুল্লাহ কায়সার, অধ্যাপক জিসি দেব, জ্যোতির্ময় গুহ ঠাকুরতা, অধ্যাপক সন্তোষ ভট্টাচার্য, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন, অধ্যাপক আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক রশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. মুর্তজা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তাহের, নিজামউদ্দিন আহমেদ, এস এ মান্নান (লাডু ভাই), এ এন এম গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ নাজমুল হক, সেলিনা পারভিনসহ আরও অনেকে।

বুদ্ধিজীবীদের হত্যার ঠিক দুই দিন পর ১৬ ডিসেম্বর জেনারেল নিয়াজির নেতৃত্বাধীন বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং স্বাধীন দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ