ঢাকা : খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, আগামী ১৭ নভেস্বর থেকে আমন ধানের সংগ্রহ শুরু হবে। এ বছর উত্তরাঞ্চলে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধারণ ক্ষমতা সন্তোষজনক পর্যায়ে আছে। তিনি বলেন, কিছু খাদ্য আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ১ দশমিক ৫ লাখ টন খাদ্য আমদানির জন্য ইতোমধ্যে এলসি খোলা হয়েছে। চালের দাম আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে। আমন ধান বাজারে এলে দাম ধীরে ধীরে কমবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার((১৪ নভেম্বর) খাদ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মজুমদার বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাদেরকে নিরুৎসাহিত করা যাবে না। মিল মালিকদের সিন্ডিকেট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যারা সিন্ডিকেট করে তাদের কালো তালিকাভূক্ত করে ভবিষ্যতে তাদের সাথে আর চুক্তি করা হবে না। এক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে এবং প্রয়োজনে শাস্তির ব্যবস্থা করবে। এখন ছোট মিলগুলো বড় মিলে রূপান্তরিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে চুক্তি কমে যাবে।
ভোগান্তির বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের উপদেষ্টা বলেন, সরকারকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন, সরকার প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবে। চালের বাজার কর্পোরেট গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, চাল আমদানিনির্ভর না, চালের চাহিদা ও উৎপাদন প্রায় কাছাকাছি।
খাদ্যশস্য আমদানির লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, চাল সংগ্রের লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন, আতপচাল ১ লক্ষ মেট্রিকটন এবং ধান ৩ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন। চালের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা প্রতি কেজি, আতপচাল ৪৬ টাকা প্রতি কেজি এবং ধান ৩৩ টাকা প্রতি কেজি।
অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মাসুদুল হাসান ও খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক-সহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ২৪, এসজিএন