বিএনএ, জবি: বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক প্রণীত প্রহসনের অভিন্ন নীতিমালা প্রতিহত, নবম পে-স্কেল প্রদান ও পে-স্কেল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন (বাআবিকফ) কর্তৃক ঘোষিত শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি ও সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতি।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধনটি পালিত হয়।
বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সূত্র অনুযায়ী জানা যায়, গত ২২ মে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের (বাআবিকফ) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী নিয়োগ, পদন্নোতি ও পদন্নোতি সংক্রান্ত সভায় মতবিনিময় হয় কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন তাদের মতামতকে উপেক্ষা করে অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তা যদি বাস্তবায়ন হয় তবে প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ভীষন ক্ষতির সম্মুখীন হবে
মানববন্ধনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দীন বলেন, অভিন্ন নীতিমালা মানি না মানবো না। কর্মচারীদের যেকোনো প্রয়োজনে আমরা থাকব।
কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইউজিসি কর্তৃক অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন , পে-স্কেল ঘোষণা করা এর পূর্ব পর্যন্ত ৫০% মহার্ঘ ভাতা এই দাবি বাস্তবায়নের শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের দাবিতে অটল থাকব। ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা কোনভাবেই বাস্তবায়ন করতে দিব না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি মো. আবু সাইদ বলেন, আজকে আমাদের রাজপথে নামার জন্য কিছু ইদুর আমাদের দিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে। আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরী করি আমরা ন্যায় নীতির মধ্যে দিয়ে কাজ করি। এখানে কাজ করে আমরা পরিবার চালাই। প্রহসন মূলক অভিন্ন নীতি মালা প্রতিহত করতে আমাদের এক হতে হবে, যারা এই নীতিমালার সাথে জড়িত তারা সহায় হন, আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট। আমরা আমাদের নীতি মালা নিয়ে ভালো আছি। অভিন্ন নীতিমালা করলে সেটা সবার দিক বিবেচনা করে করবেন।
বিএনএনিউজ/এসবি,এমএফ