বিএনএ, টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা এল জি ই ডি অফিস থেকে লিখিতভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলেও তার তোয়াক্কা না করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
উপজেলার হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮২লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ তলা ভবন নির্মাণের কাজ করছে মেসার্স উচ্ছল কনস্ট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে শুরু থেকেই উক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের কাজের অভিযোগ করে আসছে স্থানীয়রা।
সম্প্রতি রাতের অন্ধকারে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় স্থানীয়রা কাজ বন্ধ করে দেয়। পর উপজেলা প্রকৌশলী লিখিতভাবে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্দেশ অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ।
ইসমাইল নামে একজন গ্রামবাসী জানান- শুরু থেকেই তারা নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করছে। এর মধ্যে তিন দিন রাত এগারোটার পর ঢালাইয়ের কাজ করেছে । দুর্নীতি ঢাকতেই তারা রাতের অন্ধকারে কাজ করেছে।
মুন্নাফ নামে একজন জানান- রাতে কাজ করার সময় আমরা বাধা দিয়েছি। তারপরেও তারা কাজ করে কিভাবে? রাতের কাজ মানেই সন্দেহজনক।
হামিদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা নাজমুন নাহার বলেন- জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকা বিদ্যালয়ের নতুন ভবন হওয়ায় আমরা খুশি। তবে রাতের অন্ধকারে কাজ করায় ভবন টেকসই না হওয়ার শঙ্কা আমাদের মাঝে।
প্রকল্পের ঠিকাদারের সাইড ম্যানেজার নূর ইসলাম বলেন- বৃষ্টি থাকায় এবং বিদ্যূৎ না থাকায় রাতে কাজ করা হয়েছে। তবে সব কাজ সঠিকভাবেই করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান – রাতে ঢালাই করার কোন নিয়ম নেই। কিভাবে তারা এ কাজ করলো তা খতিয়ে দেখা হবে। স্থানীয়দের অভিযোগ পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
বিএনএ/ রহমান উজ্জ্বল, ওজি