বিএনএ, ঢাকা : ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি কলামে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা হয়েছে- এমন অভিযোগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় করা মামলায় বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গত ৩ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের পরিদর্শক নাজমুল নিশাত এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অপর দুই আসামি হলেন উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের সম্পাদক সুপ্রীতি ধর লিপা, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সুচিষ্মিতা সিমন্তিম। তবে নাম ঠিকানা সংগ্রহ করতে না পারায় উইমেন চ্যাপ্টারের উপদেষ্টা লীনা হককে অব্যাহতির জন্য সুপারিশ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এ মামলার আসামি তাসলিমা তাসরিনসহ তিনজন পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যেমে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।
এর আগে ২০১৮ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মাসিক পত্রিকা আল বাইয়েনাত সম্পাদক আল্লামা মুহম্মদ মাহবুব আলম বাদী হয়ে মামলায় তসলিমা নাসরিনসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল রাজধানীর শাহজাহানপুর থানাকে মামলাটি এজাহার হিসাবে নথিভুক্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ২৬ এপ্রিল শাহজাহানপুর থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, উইমেন চ্যাপ্টার নামক ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সুপ্রীতি ধর, সুচিষ্মিতা সিমন্তি ও লীনা হকরা প্রায়ই পবিত্র ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক লেখা প্রকাশ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল বিকেলে তসলিমা নাসরিনের ‘ধর্ষকের কাছে নারীর কোনো ধর্ম নেই’ শীর্ষক একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়।
ওই নিবন্ধে লেখা হয়, ‘পয়গম্বরও আরব দেশে ইহুদি পুরুষদের মেরে ওদের মেয়েদের নিজের সঙ্গীদের মধ্যে বিতরণ করেছিলেন।’ লেখিকার এই বক্তব্যে মামলার বাদীর দ্বীনি অনুভূতিতে আঘাত লাগে বলে উল্লেখ করা হয় অভিযোগে।
বিএনএ নিউজ/শহীদুল/এইচ.এম।